নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রেমের বিয়ের চার মাস পার না হতেই লাশ হলেন মারিয়া
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মারিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় নিহত গৃহবধূর মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ মারিয়ার স্বামী, শাশুড়িসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার পূর্ব শিয়ালদি গ্রামের মারিয়া আক্তারকে (১৮) ৪ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে মুন্সিগঞ্জের টংগীবাড়ী থানার আউটশাহী গ্রামের লিটন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২২) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রিফাত তার মা ও ভাইদের সঙ্গে মারিয়াকে নিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হচ্ছিল। শনিবার ভোর ৪টায় রিফাতের বোন জামাই শেখ রাজা মিয়া ফোন করে রাহিমা বেগমকে জানান, মারিয়া আক্তার ফতুল্লার মাসদাইরের ভাড়া বাসায় সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এরপর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে রাহিমা বেগম তার মেয়ের লাশ দেখতে পান। হাসপাতালে মেয়ের জামাই ও শাশুড়ি একেক সময় একেক ঘটনা বর্ণনা করে। একপর্যায়ে মারিয়ার স্বামী রিফাত পালিয়ে যায়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, মারিয়া আক্তারের কপালের বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত নির্গত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় রিফাত, তার ছোট ভাই আশরাফুল শেখ ও তাদের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।