টঙ্গীতে ধামাকা’র পরিচালকসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা।
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ ধামাকা শপিং ডটকমে সাড়ে ১১লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করেও পণ্য না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন টঙ্গী পশ্চিম থানার উত্তর আউচপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ শামীম খান। তিনি একজন পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী। মামলায় বিবাদীরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিমউদ্দিন চিস্তী (৫৭), চেয়ারম্যান ডাঃ এম আলী ওরফে মোজতবা আলী (৬০), সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা ডিএমডি দেবকর দে শুভ (৩২), নাজিম উদ্দিন আসিফ (২৮), এজিএম হেড অব একাউন্টস্ সাফোয়ান আহমেদ (৪১), ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন (৪৬), আসিফ চিশতী (২৬), সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান (৩৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন (৩৫) ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয় (৪৫)। মামলার বাদী মোঃ শামীম খান বলেন, গত ২০মার্চ অনলাইনে মাইক্রোড ট্রেড, ৪৩ মহাখালী আকুয়া টাওয়ার (লেভেল ৩ ও ৮) এর আওতাধীন ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালিত ধামাকা শপিং ডটকম’র ফেইসবুক পেইজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেয়। অনলাইনে অফারটি দেখে আমি প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করি। যোগাযোগ করার পর আমাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুয়ায়ী বাদী ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১লাখ ৫৫হাজার টাকা পরিশোধ করি। প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫দিনেও আমার পণ্য সরবরাহ করেনি। ৫০দিন পর সে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। একমাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও ডাইরেক্টর অপারেশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১১লাখ ৫৫হাজার টাকার দুইটি চেক দেয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় একাউন্টে কোন টাকা নেই। পরে ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিও মামলার ৩নং আসামি মোঃ সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে, তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবন্ধ । এ থেকে সে বুঝতে পারে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছি। এরপর আমার টাকা পরিশোধের ইনভয়েজ, ব্যাংকের চেকের ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ্ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ২৩ সেপ্টেম্বর দায়ের করা হয়েছে মামলার নম্বর হলো-১৩। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান আছে।