টঙ্গীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা স্বামী পলাতক
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ গাজীপুরের টঙ্গীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ৯টায় সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শান্ত মল্লিক পলাতক রয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী পারুল আক্তার টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন দাড়াইল বটতলা এলাকার আহমেদ আলীর মেয়ে। গত ৩/৪ মাস পূর্বে ঢাকার মিরপুর শাহআলী থানার মুনছুরাবাদ মাজার রোডের নূরুল ইসলাম মল্লিকের ছেলে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী শান্ত মল্লিকের (৩৭) সাথে পারুলের বিয়ে হয়। এটি ছিলো উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিন) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত পারুলের বাবা আহমেদ আলী জানান, জর্ডান ফেরত পারুল নিজের জমানো টাকা দিয়ে জায়গা কিনে দাড়াইল বটতলা এলাকায় একটি বাড়ি তৈরি করে দুই বছর যাবত ওই বাড়িতেই থাকতেন। ৩/৪ মাস পূর্বে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী শান্ত মল্লিকের সাথে পারুলের বিয়ে হয়। প্রায় দুই মাস আগে শান্ত স্ত্রী পারুলের কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন শালিসের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করে দেয়। এরপরও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছিলো। আহমেদ আলী আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে পারুলের বাসায় বেড়াতে আসে শান্তর ভগ্নিপতি। সোমবার সকাল থেকে পারুলের মোবাইলে কল করলেও কেউ রিসিভ করছিলেন না। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পারুলের ভাগিনা আকাশ বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বাহির থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। এসময় ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে খাটের ওপর বালিশ চাপা অবস্থায় পারুলের নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিন) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে পারুলকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ব্যাুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।