রাজনীতির মাঠে দুই বন্ধুর লড়াই
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ - বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টঙ্গী অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গন। সামাজিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত চলছে আলোচনা সমালোচনা। কে হবেন আগামীর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এনিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। এই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হলো কলেজ জীবনের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু সাবেক ও বর্তমান দুই ছাত্র নেতার প্রার্থীতা ঘোষনার পর। আগের কমিটির নেতাদের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রচারণা ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন দুই ছাত্রনেতার কর্মী ও সমর্থকরা। আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে টঙ্গীর দুই থানায় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট ও তরুন নেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সরকার মনি, হাজী হাসান উদ্দিন, মামুন মোল্লা, লিটন প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির বাপ্পি, টঙ্গী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি কাজী মুনজুর। এদের মধ্যে হুমায়ুন কবির বাপ্পি ও কাজী মনজুর কলেজ জীবন থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রাজপথের সহযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত। দুজনই টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। এছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ করছেন পদ পদবী আশায়। প্রবীন রাজনৈতিক নেতাদের মতে, তরুণরা রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী হচ্ছে এটা ভালো দিক। আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে এবং দলকে গতিশীল করতে কমিটি ঘোষনার বিকল্প নেই। নবীন ও প্রবীনদের সমন্নয়ে কমিটি ঘোষনা করলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান হবে। এবিষয়ে কথা হলে সভাপতি পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির বাপ্পি বলেন, রাজনীতির মাঠে যেকেউ প্রার্থী হতে পারে হাই কমান্ড যাদের যোগ্য মনে করবে তাদেরকে দায়িত্ব দেবেন। রাজনৈতিক ভাবে কারো সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকলেও ব্যাক্তিগত সম্পর্কে তার কোন প্রভাব পরবে না। উপর সভাপতি প্রার্থী কাজী মনজুর বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা হয় না। রাজনীতির মাঠে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বি হলেও ব্যক্তিগত জীবনে আমরা বন্ধু ছিলাম বন্ধু থাকবো।