গাজীপুরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
বি এ রায়হান, গাজীপুর: গাজীপুর সদর থানা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাবেক সভাপতি তরুন সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম জিকুর উপর জামাত বিএনপির এজেন্ট রফিকুজ্জামান রফিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আাসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় ৩১নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে ভারারুল জামতলা এলাকায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জাহাঙ্গীর আলম জিকুর উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এলাকাবাসী। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় জামাত বিএনপির এজেন্ট সাবেক কাউন্সিলর রফিকুজ্জামান রফিকের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসীরা বাহিনী অযাচিত ভাবে যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তা খুবই লজ্জাজনক। জাহাঙ্গীর আলম জিকু একজন দানবীর তরুন সমাজ সেবক এলাকার সর্বস্থরের মানুষের আস্থা ও ভালাবাসার মানুষ। তার উপর এমন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। হামলার শিকার জাহাঙ্গীর আলম জিকু বলেন, আমার উপার্জনের একটি বড় অংশ আমি সাধারন মানুষের প্রয়োজনে ব্যায় করে থাকি। সবসময় তাদের সুখে দূঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। যেহেতু সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমি স্থানীয় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমাস মোল্লার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারনা করছিলাম। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় আমি এলাকাবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রচারনা চালানোর সময় সাবেক কাউন্সিলর রফিকুজ্জামান রফিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ইকবাল হোসেন, জান্নাত, সাইদুল ইসলাম, হারুন, শাহিন পারভেজ, জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, রানা মিয়া, নবীন রানা, লিটন মিয়াসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে আমি গুরুতর আহত হই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় মুরব্বী হাজী আব্দুল বারেক, অধ্যাপক কাজী নজরুল ইসলাম, তারা মিয়া, মাহাবুব আলম, আয়ুব আলী, মকবুল হোসেন, আয়নাল হক, মতিন ভান্ডারী, দুলাল মিয়া, জালাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ মিয়া, সুন্দর আলী, ইসরাফিল হোসেনসহ এলাকার মা বোন ও সর্বস্থরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।