'বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, রাজ্যের পরামর্শ ছাড়া তিস্তা চুক্তি সম্ভব নয়'
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের অনাপত্তি ছাড়া তিস্তা চুক্তি করা সম্ভব নয়, এমন মত ভারতের রাজনীতিকদের। কেন্দ্রীয় এক প্রতিমন্ত্রী বলছেন, মোদি সরকার সবাইকে সাথে নিয়েই, এ সমস্যার সমাধান করবে।আর কংগ্রেসের এক সংসদ সদস্যের মতে, রাজ্যের মতামত আমলে নেয়া কেন্দ্রের অবশ্য দায়িত্ব।
প্রধানসমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরেও, তিস্তা চুক্তি হবে না সেটা নিশ্চিতই ছিলো। তবুও অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন মোদি ম্যাজিকের। শেষতক অবশ্য নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার ও শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই তিস্তা সমস্যা সমাধান সম্ভব।
কংগ্রেস থেকে বিজেপি, দুই আমেলেই তিস্তা চুক্তি আটকেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তিতে।
যদিও ভারতের সংবিধানের ২৫৩ ধারা বলছে, আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় সংসদ যেকোন আইন পাশ করার ক্ষমতা রাখে। সেখানে রাজ্য সরকারের সমর্থন বা অনাপত্তি আমলে নেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
তারপরও ভারতের বড় দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপির নেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের সমর্থন ছাড়া এ চুক্তি করা কোনভাবেই উচিত নয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এস এস আহলুওয়ালিয়ার বলছেন, সংবিধান দেশের মানুষের আবেগের উর্ধ্বে নয়।
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ও ভারতের রাষ্ট্রপতির পুত্র অভিজিৎ মুখার্জীও বলছেন, রাজ্যের সুখ-দুঃখের কথা চিন্তা করেই চুক্তি করতে হবে সরকারকে।
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, তিস্তা চুক্তি শুধু সাংবিধানিক ক্ষমতা দিয়ে করলেই হবে না, এর সমাধান আসতে হবে সমন্বিতভাবেই।