হাজার কোটি টাকা লোকসানে বিমান বাংলাদেশ
গেলো পাঁচ অর্থবছরে হাজার কোটি টাকার ওপরে লোকসান গুণেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ।
অথচ স্বাধীনতার পর থেকে বিপুল টাকা খরচে বহরে যোগ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের উড়োজাহাজ। যাত্রী সেবার মান, সীমাহীন দুর্নীতি আর অব্যস্থাপনার কারণে সৃষ্টি হয়েছে এমন অবস্থা- বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর পেছনে বিমান বাংলাদেশের যুক্তি হলো দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত দাম।
১৯৭২ সালে ৪ঠা জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর হাতে ধরে যাত্রা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ৪৫ বছরে ফকার থেকে শুরু করে বোয়িং৭৭৭ আধুনিক উড়োজাহাজের প্রায় সব মডেলই যুক্ত হয়েছে বিমান বাংলাদেশের বহরে। যেগুলো কখনো আনা হয়েছে ভাড়ায়। আবার কখনো কেনা হয়েছে নিজ অর্থে।
২০০৭ সালে কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয় বিমান বাংলাদেশ। এরপরের দুবছর লাভের মুখ দেখলেও আবারও গুনেত হয় লোকসান। ২০১১ থেকে-২০১৪-এই তিন অর্থবছরে লোকসান ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। অবশ্য এর পরের দুই অর্থবছরে আবারও দেখতে শুরু করে লাভের মুখ। এ সমেয় মোট মুনাফা হয় ৬০০ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিমানের যাত্রী ২০ লাখ ২০ হাজার জন। ২০১৫-১৬ যাত্রী পরিবহন করেছে ২৩ লাখ ১৮ হাজার জন। বিমানের তথ্য বলছে, আগের তুলনায় যাত্রী বাড়লেও কমেছে আয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছ, বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে জেট ফুয়েলের দাম বেশি। এছাড়া গত বছর যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাও একটা বড় কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি ফ্লাইটের বিলম্ব কমানো ও যাত্রী সেবার মান না বাড়াতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে না। বর্তমানে ১৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যসহ সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইসেন্স।