গাংনীর বিডিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র নির্যাতন শিক্ষক দেখলেই আঁতকে উঠছে মিঠুন
আল-আমীন,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার Channel 4TV :
আমি আর দেরী করবো না, আর মারবেন না’। নানীর কোলে মাথা রেখে এমনি প্রলাপ বকছিল আর শিক্ষক দেখলেও আঁতকে উঠছিল শিশু মিঠুন। সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। মিঠুন গাংনীর বিডিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ও ভরাট গ্রামের মিল্টনের ছেলে। এদিকে ছাত্র নির্যাতনের ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্কুল ছাত্র মিঠুনের নানা আজাহার জানান, গত ১৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ে শিক্ষক শাহিন বাথরুমে মল ত্যাগ করে আসার পর ছাত্র মিঠুনকে পানি ঢালতে বলে। পানি ঢালার সময় মিঠুনের পায়ের স্যান্ডেলের ফিতা খুলে যায়। ফিতা লাগাতে গিয়ে ক্লাসে ঢুকতে দেরী হওয়ায় শিক্ষক বজলুর রহমান তাকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে প্রথমে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হলেও শিশু মিঠুন ভয়ে হাসপাতালে থাকতে চায়নি। মিঠুনকে মারধরের সময় কোন শিক্ষকই এগিয়ে আসেনি বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, ঘটনার দিন তিনি বাইরে ছিলেন। বিষয়টি শোনার পর শিক্ষার্থীর বাড়িতে যান এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। সাথে সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্যদেরকে অবহিত করেন। গত ১৯ এপ্রিল বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের জরুরী বৈঠকে সভাপতির নির্দেশে তিনি ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন বলেও জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাদশা জানান, বিষয়টি শুনেছেন এবং এক বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, শিক্ষকের আদেশ মানার জন্য কোন বাধা নেই কিন্তু তারও একটা সীমা আছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীকে মারধর করার কোন বিধান নেই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার জানান, তিনি কোন কিছুই জানেন না। তবে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার।