ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলোচিত যারা
ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১১ প্রার্থী থাকলেও, সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উগ্র ডানপন্থী নারী, মেরিন লো পেন। অভিবাসী বহিষ্কার আর ব্রেক্সিটের আদলে, ফ্রেক্সিট কার্যকর করতে চান তিনি। যাতে শঙ্কায় আছেন, দেশটির ৫০ লাখ মুসলমান। সবশেষ জনমত জরিপে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ৩৯ বছর বয়সী এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ঘুরে-ফিরে দেশটির ক্ষমতায় এসেছেন, সোশালিস্ট আর রিপাবলিকান প্রার্থীরা। তবে, এবার ঘটতে পারে, ব্যতিক্রম।
নির্বাচনের মাত্র ৩ দিন আগেও ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলা। তারওপর সপ্তাহধরেই কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মেরিন ল্য পেনের বিরুদ্ধে, সহিংস বিক্ষোভ দেখেছে প্যারিসবাসী। সব মিলে, নানা সমীকরণ রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে। ১১ প্রার্থী থাকলেও, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মেরিন ল্য পেন। মূলত, ই-ইউ ছাড়তে ফ্রেক্সিট কার্যকর, অভিবাসী আর মুসলিম তাড়াও- শ্লোগানে, গেল বছর থেকেই প্রচারণার মাঠে শক্ত অবস্থানে, মেরিন। অভিবাসী বিদ্বেষী নীতির কারণে, ফ্রান্সের ট্রাম্প বলা হচ্ছে তাকে।
ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ৫০ লাখ মুসলমানের আবাস ফ্রান্সে। মুসলিমের শঙ্কা, ল্য পেন ক্ষমতায় এলে গণহারে বিতাড়িত হতে হবে তাদের। আইএস দমন, আর শক্তিশালি পররাষ্ট্রনীতি গড়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় রক্ষণশীল দ্য রিপাবলিকানসের প্রার্থী, ফ্রাঁসোয়া ফিঁয়। শুরুতে ফেভারিটের তালিকায় থাকলেও, অর্থ কেলেঙ্কারিতে জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে তার।
প্রচারণার মাঠে নিজেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে, প্রতিষ্ঠিত করেছেন, মাত্র ৩৯ বছর বয়সী উদারপন্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিনিয়োগ বাড়ানো আর বেকারত্ব দূরীকরণের মত প্রতিশ্রতি তার। অনেকেই তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে তুলনা করতেও শুরু করেছেন।
ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওঁলাদের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় এবার প্রার্থী হননি তিনি। তাই, বিশ্লেষকরা বলছেন, মেরিন ল্য পেন, ফ্রাঁসোয়া ফিঁয় আর ম্যাক্রোঁর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি হবে।
একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাধারন ফরাসিরা অনেকেই মেরিনকে সমর্থন দিয়েছেন। জয়ের জন্য যতটা জনপ্রিয়তা দরকার, তা নেই তার। সেক্ষেত্রে হাড্ডাহাড্ডি-ই লড়াই হবে। হয়ত দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত যেতে পারেন মেরিন।
৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের দেশটিতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই সোস্যালিস্ট আর রিপাবলিকান দলের প্রার্থীরাই ঘুরেফিরে ক্ষমতার কেন্দ্রে। অবশ্য, জরিপ বলছে, এবারই ব্যাতিক্রম ঘটতে পারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।