রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: আটকে আছে বিচার
৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ তৈরি পোশাক কারাখানা দুর্ঘটনা, রানা প্লাজা ধসের দুই মামলার বিচার থমকে আছে। গত বছরের মাঝামাঝিতে আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন হলেও এর বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যাওয়ায় এখনো সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। তারপরও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৮ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এ ঘটনায় ১১৩৭ জন নিহত হন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২৪৩৮ জনকে। যাদের প্রায় অর্ধেকই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
ভবন ধসের পরদিন সাভার থানায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দু’টি মামলা হয়। ঘটনার দুই বছর ১ মাস পর ভবন মালিক রানাসহ ৪২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে দুই মামলার চার্জশিট দেয় সিআইডি। গত বছর জুন ও জুলাইয়ে ঢাকার পৃথক দু’টি আদালতে দুই মামলার চার্জগঠন হলেও বিচার প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।
তবে আসামিপক্ষের বিচার বিলম্বিত করার কৌশল খুব একটা ফলপ্রসু হবে না বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।
হত্যা মামলায় প্রধান আসামী সোহেল রানাসহ তিনজন কারাগারে আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ৭ জন। আর মারা গেছেন একজন। তিন গার্মেন্টস মালিকসহ জামিনে আছেন ৩০ জন।