কবর থেকে উঠানো হলো মালদ্বীপের মডেল কন্যা রাউধার মরদেহ
মালদ্বীপের নাগরিক রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক মডেল কন্যা রাউধা আতিফের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উঠানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে তার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তে তিন সদস্যের মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বৃষ্টির পর রাজশাহী হেতেমখাঁ কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. রক্তিম চৌধুরীকে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল সিআইডি কর্মকর্তা আসমাউল হক রাউধার লাশ কবর থেকে তুলে পুন:ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানান। পরে শুনানী শেষে ১৮ এপ্রিল বিকেলে রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মাহবুবুর রহমান রাউধার লাশ কবর থেকে তোলার আদেশ দেন।
মরদেহ উঠানোর ব্যাপারে সিআইডিতে ফোন করে মালদ্বীপ থেকে আপত্তি জানিয়েছেন রাউধার মা আমিনাথ মুহাররিমা। তবে রাউধার বাবা ডা. আতিফ মরদেহ উত্তোলন করতে চেয়েছেন, বর্তমানে তিনি রাজশাহীতে রয়েছেন।
পোষ্টমর্টেম শেষে তার লাশ আবার রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখাঁ কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তখন জানিয়েছিল, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে রাউধা আত্মহত্যা করে। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তার সহপাঠীরা রাউধার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ফেলে।
গত ৩০ মার্চ রাউধার মরদেহ দেখতে রাজশাহীতে আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আয়েশাথ শান শাকির এবং তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। ৩১ মার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। রাউধা আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে বোর্ড ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আথিফের জন্ম ১৯৯৬ সালে ১৮ মে। তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রাউধা পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণে আরোও পাঁচ মডেলের সঙ্গে রাউধাও ছিলেন।