২০১৫ সালে রংপুরে খুন হন, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। এর একবছরের মাথায়, গুলশানের হলি আর্টিসানে, জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায়, আরও সাত জাপানির।একের পর এক জঙ্গি হামলায় নিজ নাগরিকদের মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ে বন্ধুপ্রতীম জাপানের। অবশ্য, রোববার দেশটির জনপ্রিয় পত্রিকা 'আশাহি শিম্বুনে'র এক নিবন্ধে, তুলে ধরা হয় আশা জাগানিয়া বাংলাদেশের কথা।
'বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন আর সহনশীলতার নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বৈশ্বিকক্ষেত্রে আশাবাদ বাড়ছে'-শিরোনামের ওই নিবন্ধে জাপানি সাংবাদিক ইয়ুকিফুমি জানান, এক যুগ পর, বাংলাদেশে এসে বহু পরিবর্তন চোখে পড়েছে তার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার করেছে দেশটি।
বাংলাদেশের পোশাকখাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইয়ুকিফুমি তাকেউচি। তথ্য-প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, হিমায়িত মাছ ও পাট শিল্পকে দেখছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনায় খাত হিসেবে। তার মতে, বাংলাদেশের ওষুধশিল্পও বড় ভূমিকা রাখছে বিশ্ববাণিজ্যে।
২০০৪ সালে প্রথম ঢাকায় আসেন ইয়ুকিফুমি। আবারও আসেন গেল ফেব্রুয়ারিতে। এই জাপানি সাংবাদিকের চোখে, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ। হলি আর্টিসান হামলার পর, বাংলাদেশকে 'লেভেল-টু' ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ অবস্থার এখনও পরিবর্তন হয়নি। বরং এখনো অনেক জাপানি মনে করেন, জঙ্গি হামলার টার্গেট তারা।
ইয়ুকিফুমি লেখেন, চিরায়ত বাঙালী সংস্কৃতির মাঝে বহু ভাষা সংস্কৃতির মেলবন্ধন মুগ্ধ করার মত। আন্তর্জাতিক চরমপন্থার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে পারলে, পারস্পারিক আস্থা, বিশ্বাস ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানে গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।