'নবম-দশম শ্রেণীর ১২টি বই সহজীকরণ করা হচ্ছে'
যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ ১২টি পাঠ্যপুস্তক সহজ করে আগামী বছরই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়া, কোচিং বাণিজ্য এবং নোট বই ও গাইড বই বন্ধের বিধান রেখে শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এদিকে, শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালের।
পহেলা জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণের পরপরই পাঠ্যবইয়ের নিম্নমান, ভুল ছাপা, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের লেখা বাদ দেয়ার বিষয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ বিষয়টি সামনে রেখে মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তক ও বর্তমান কারিকুলাম পরিমার্জনে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকে শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রশ্নে বাজেট বরাদ্দ এবং গাইড বই বন্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে বলে মত দেন ড. জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ জিডিপির ৬ শতাংশ খরচ করবে। কিন্তু শিক্ষাখাতে জিডিপি মাত্র ২.২ শতাংশ খরচ করা হয়। আমরা সেই সঙ্গে বলি গাইড বই বন্ধ করতে হবে, নোট বই ও কোচিং বন্ধ করতে হবে। কিন্তু আমাদের পত্র পত্রিকায় শিক্ষা পাতা নামে যে গাইড বইয়ের বিজ্ঞাপন ছাপানো হয় তা বন্ধ করতে হবে।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার বিষয় এবং সময় কমিয়ে আনা,উত্তরপত্র মূল্যায়নে বৈষম্য কমিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্য পুস্তকের ক্ষেত্রে নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে বিষয় বাছায়ের ক্ষেত্রে এই সব কিছু মিলিইয়ে আমরা আরোও উন্নতমানের সহজীকরণ করার চেষ্টা করছি। পরীক্ষা একটা দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এইটা কমিয়ে আনা আমাদের সকলেরই দাবি।
কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বই বন্ধে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক সহজ ও যুগোপযোগী করতে ১২ টি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, 'বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা, গণিত উচ্চতর গণিত পদার্থ বিজ্ঞান রসায়ন জীব বিজ্ঞান অর্থনীতি হিসাব বিজ্ঞান এই বারোটা বই এর উপর কাজ চলছে।'
পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিক মূল্যায়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।