বাবা সভাপতি, মেয়ে প্রধান শিক্ষিকা, স্লীপ বরাদ্ধের প্রায় সম্পূর্ণ টাকা বাবা-মেয়ের পেটে!
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV :
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ৯২নং কালাইকিশোর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃআলী হোসেন হাওলাদার,প্রধান শিক্ষিকা সভাপতির মেয়ে মোসাঃ মাহ্ফুজা লিপির বিরুদ্ধে স্কুলে অনিয়মিত অাসা সহ সরকারী বরাদ্ধের অর্থ আত্বসাৎ এর স্হানীয় ভাবে অভিযোগ উঠে আসলে, প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে লুকিয়ে থাকা অনেক অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সরকারের সৃজনশীলতা তৃণমূল পর্যায়ে শক্ত ভিওি তৈরীর লক্ষ্যে, প্রাক ক্লাসকে রংতুলিতে চিএ একেঁ বা ব্যানার আকারে প্রদর্শণীর মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার প্রতি শিশুদের আকর্ষণ করে মনোনিবেশ করানো। বাণী,শিক্ষা উপকরণ ও গুনীজনদের চিএকর্মের প্রদর্শণীর মাধ্যমে প্রথমিক পর্যায়ে সভ্যতার বীজ রোপনের জন্য সরকার ৪৫ হাজার টাকার মহা-উদ্যোগী স্লীপ সহ প্রাক- প্রাথমিকে অতিরিক্ত বরাদ্ধ দিলেও ৯২নং কালাই কিশোর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্ধ বাস্তবায়ন চিএ এমন যেন, এই বরাদ্ধ প্রধান শিক্ষিকাকে সরকার ব্যক্তিগত হাত খরচের জন্য বোনাস দিয়েছে।
জানা যায়, লিপি ম্যাডামের বাবা অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় বিদ্যালয়ের এস এম সি ও পি টি এ কমিটির কেউই কোন অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার সাহস রাখে না।খোজঁ নিয়ে আরও জানাযায়, উক্ত বিদ্যালয়ে কোন সময়ই কোন জাতীয় দিবস পালন হয় না। চলতি বাংলা বর্ষবরন ও মুুজিব নগর সরকার দিবস পালন করেন নাই উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা।
প্রধান শিক্ষিকা মাঝে মাঝে এসে অনেক দিনের অনুুপস্হিতির কাজ এক সাথে সাড়েন। বিদ্যালয়ের ছাএ-ছএীদের সাথে কথাবলে জানাযায়, ছাত্র ছাত্রীদের নোট বই এবং গাইড উক্ত বিদ্যলয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃরফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কেনার জন্যেও চাপ প্রায়োগ করেন প্রধান শিক্ষিকা। উক্ত বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে সুষ্পষ্ট জানার জন্য গত কয়েক দিন আগে আফিস চলা কালীন সময় বিদ্যালয়ে গেলে, প্রধান শিক্ষিকা মাহ্ফুজা লিপিকে পাওয়া যায়নি,দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃঅলিমা বেগমের কাছে অনিয়মের বিষয় এবং গাইড বই ছাত্র -ছাত্রীদের কাছে কেন বিক্রকরেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসব বিষয় আপা (প্রধান শিক্ষিকা) বলতে পারবেন আর গাইড বই আমি বিক্রি করিনা আপার নির্দেশেই রফিক স্যার বিক্রি করেন। ঐদিন বিকাল দিকে প্রধান শিক্ষিকা মাহ্ফুজা লিপি ০১৭৪৫৭৩৪৪৪২ নাম্বার থেকে ফোনে সাংবাদিকদের বলেন,ক্ষমতাশালী অনেকেই আমার আত্বীয়, ভাই রির্পোট লিখে কি হবে, সবার সাথে সম্পর্ক রেখেই চলছি। আপনার সাথে পরবর্তিতে একটা সময় দেখা করবো। তবে পুরো ঘটনার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আব্দুছ ছাত্তার সাহেবের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে, বরাবরের মত একই দায় সাড়া বক্তব্য যে, আমি একটু বাহিরে আছি এসব বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, অফিসে এসেই আমি ঐ শিক্ষিকাকে ফোন করে বলবো।