গাংনীতে রাস্তার বেহাল দর্শা, দেখার কেউ নেই
এম এ লিংকন জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর Channel 4TV :রাস্তা নেই কাজ নেই করবো কি?আর মাছ চাষ শুধু সর্বনাশ,রাস্তা দিয়ে মাছের খাবার শহর থেকে নিয়ে আশা খুব কষ্ট ।কবে আমাদেও কষ্ট দুর হবে যানিনা কথা গুলো কাঁদো কণ্ঠে বলেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের মাছ চাষি কলিমুদ্দীন আলী।আমাদের দেখে ঐ গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা মহিউদ্দীন বলেন আমার মৃত্যুর আগে আমি যেন পাকা রাস্তা দেখে মরতে পারি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সহড়াতলা বানিয়াপুকুর ও ষোলটাকা গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি ১০ বছরেও সংস্কার এর কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। এই রাস্তাটি সংস্কারে কোন চেয়ারম্যান,মেম্বর ও সংসদ সদস্য এগিয়ে আসেনি।এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে রাস্তা নিয়ে প্রায় ৫ হাজার মন মাছ সরবারহ করা হয়।
জানা গেছে,উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে প্রায় ৩শ”পুকুর রয়েছে যা প্রতিদিনে মাছের খাবার নিযে যায়ার জন্য ভারী যানচলাচল করে এই সড়ক দিয়ে । বর্তমানে ষোলটাকা গ্রামকে মৎস্য গ্রাম কেউ মৎস্য পল্লী বলে ডাকে।মাছ বিক্রয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয় করে চলছে। যা থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার বেকার যুবক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে চাষিরা ।তবে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক চরমভাবে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।এই রাস্তাটি হলে এলাকার শুধু মাছ চাষি না স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামের সাধারণ জনগনের অপকৃত হবে বলে এই এলাকার অনেকে জানান। তবে বর্ষাকালে পানির চাপে রাস্তা গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এব্যপারে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব-উল হক জানান,রাস্তাটি এলাকার জনণনের কষ্ট লাঘব এর জন্য রা¯াÍটি দ্রুত সংস্কার করা হবে ।
ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জানান,রাস্তাটির উপর পানি জমে থাকায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও গ্রাম বাসিদের চলাচলের সমস্যা হয় । এব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য উদ্যেগ গ্রহন করলে অতি তাড়াতাড়ি করে রাস্তটি সংস্কার করতে পারবে।
গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী জানান,আমি জেলা প্রকৌশলী আজিমদ্দীন সরকারকে নিয়ে গত সপ্তাহ রাস্তাটি পরির্দশনে গিয়ে ছিলাম।রাস্তাটি অবস্থা খুবিই খারাপ। বর্তমানে ষোলটাকা গ্রামকে মৎস্য গ্রাম কেউ মৎস্য পল্লী বলে ডাকে।মাছ বিক্রয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয় করে চলছে। যা থেকে বাংলাদেশে মাছের চাহিদা পূরণ করে হাজার হাজার বেকার যুবক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।এই রাস্তার পাশে ষোলটাকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩শ” ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বর্ষাকালে রাস্তা উপর পানি জমে থাকায় চলাফেরা করা শিশুদের জন্য চরম কষ্টদায়ক ।তিনি আরও বলেন একটি রাস্তার জন্য অর্থনৈতিক আটকে যাচ্ছে যা মেনে নেওয়া যাইনা । বর্ষা আসার আগে রাস্তাটি নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে।গ্রামের ভিত্তর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার দু পাশ দিয়ে রয়েছে পুকুর আরও পুকুর। আমি এলজিডি অফিসে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্র সাথে কথা চলছে তবে অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হবে ।রাস্তাটির সংস্কারের জন্য কাগজপত্র এলজিডি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারী ভাবে বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু হবে ।