আগাম বন্যার থাবা হাওর আর বিলে।
ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত আড়াই লাখ হেক্টর জমির বোরো ক্ষেত। আবহাওয়ার বৈরিতায় যোগ হয়েছে ফসলের রোগবালাই। সরকারি হিসাবই বলছে, এবার এই বহুমুখী দুর্যোগে কমতে পারে কমপক্ষে ১০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন।
তবে কেবল উৎপাদন কম হওয়াই নয়, সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য মজুদেও। খাদ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি মাসে মোট খাদ্যের মজুদ ৫ লাখ ১০ হাজার টন। যার মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার টন চাল, বাকি প্রায় ২ লাখ টন গম। অথচ গেল দুই বছর এই সময়ে খাদ্যের মজুদ ছিল দ্বিগুণ। আর এই সুযোগে একশ্রেণির সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী এরইমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছেন চালের দাম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বলয় অনেকাংশেই বোরোনির্ভর। তারউপরে সাম্প্রতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে এবারের ফলনে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা বলয় টেকসই করার উপায় খোঁজার পরামর্শ তাদের।
তবে বর্তমানে খাদ্যের যে মজুদ আছে, তাকে পর্যাপ্ত বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। যদিও চালের দাম বাড়ার পেছনে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করছেন তিনি।
দেশে বছরে মোট চালের চাহিদা ৩ কোটি টন। যার ৫৫ ভাগের জোগান আসে বোরো মৌসুমে।
দেশে এবার খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে
দেশে ২০০৭-৮ সালের মতো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে সরকারের চাল ও গমের মজুদ গত দুই বছরের তুলনায় অর্ধেক। তারউপরে সাম্প্রতিক আগাম বন্যা আর বৈরি আবহাওয়ায় চালের উৎপাদনও হবে কম। যদিও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। আর খাদ্য নিরাপত্তা বলয় টেকসই করার উপায় খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।