নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় বোরো ধানের ফসল নষ্ট
শাহ মো:জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
নীলফামারী সৈয়দপুরে ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় এক কৃষকের ৭৫ শতক জমির সম্পন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগে যানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুুকুর ধলাগাছ এলাকার আজগার আলীর ছেলে সাইফুল ৭৫ শতক জমিতে বোরো ধান চাষ করে। ওই জমির পাশেই এবি ইট ভাটা। কয়েকদিন আগে ওই ভাটার আগুন রক্ষা করার সীমানা প্রাচীর ও ডাম্পা ভেঙ্গে যায়। এসময় কালো ধোয়ায় ওই এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। সীমানা প্রাচীরের সামনে কৃষক সাইফুলের ওই ফসলী জমি।
ওই কালো ধোয়া জমির উপর দিয়ে চলে যায়। কয়েকদিন পর কৃষক সাইফুল তার জমির ধান দেখতে গিয়ে দেখেন সম্পূন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি এলাকার ইউপি সদস্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে গতকাল শনিবার ওই ফসলী জমি দেখতে যান। ধলাগাছ নীলফামারী সড়কের পাশেই আব্দুল হকের এবি ইট ভাটা। এর আগেও এ ভাটার কারণে অনেক ফসলী জমি আবাদ নষ্ট হয়েছে। এ নিয়ে মিছিল মিটিং করেও কোন লাভ হয়নি। ফসলী জমি ছাড়াও অনেক গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইট ভাটার মালিকের সাথে ওই এলাকার কৃষকরা কথা বললে তাদেরকে কোন পাত্তা দেয়নি। এদিকে জমির ফসল টুকুই ছিল সাইফুলের সম্বল। ফসল হারিয়ে কৃষক সাইফুল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী তাদের কষ্টাজিৎ ফসল ও গাছ পালা নষ্ট হওয়ার জন্য ইট ভাটার মালিককে দায়ী করেছেন। ওই এলাকার কৃষক ও যুব লীগ নেতা মোতাহার হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে ইট ভাটার মালিক আব্দুলের সাথে কথা হলে, কোন সাড়া মেলেনি। আমরা ইটভাটার মালিকের কাছে কৃষকের ক্ষতিপূরণ দাবী করছি। কৃষক সাইফুল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অনেক কষ্ট করে জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। সম্পূণ ফসল নষ্ট হওয়ায় আমার সবকিছু শেষ হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোমিনুর রহমান ঘটনা শুনে ওই জমিতে গিয়ে দেখি সম্পূণ ফসল নষ্ট হয়েছে। আমি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাসু দেব দাস জানান, এটা কোন রোগ নয়। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে। আমি আমার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে কৃষক সাইফুল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।