হাওরের বাঁধ নিয়ে দুর্নীতির তথ্য দিন পানিসম্পদমন্ত্রী
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV : পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, হাওর এলাকায় যাতে আর দুর্যোগ না নামে তার একটা বিহীত করতে হবে। সেজন্য নদী খনন জরুরী। তাই সুনামগঞ্জের রক্তি, যাদুকাটা, আবুয়া ও বিবিয়ানা নদী অচিরেই খনন করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নদী খনন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাওররক্ষা বাঁধ নিয়ে ক্ষুদ্রতম ক্রুটি পাওয়া গেলে কিছুতেই ছাড় নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতি আমরা করতে দেব না। আমাদের মন্ত্রণালয়ে গত সাড়ে ৩ বছরে ১২ জনকে চাকরীচ্যুত করেছি। আমরা বিশ্বাস করি স্বচ্চতার বিকল্প নেই। গত শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জের সার্কিট হাউজে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে শুক্রবার দিনভর সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ বিভিন্ন হাওর এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, কোন ঠিকাদার যদি বলেন তার কাজ হয়ে গেছে আমি মানব না, কাজ বুঝেই পরবর্তীতে তার প্রাপ্য পাওনা শোধ করা হবে। দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করতে পারেন। তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কথা দিলাম আপনাদের পরিচয় পাবলিস্ট না করে গোপন রাখা হবে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরপ্রতিক, সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতিক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আল-হেলাল, শাহজাহান চৌধুরী, সেলিম আহমদ তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙে কোথাও কোথাও বাঁধ না হওয়ায় গত ৩০ মার্চ থেকে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাওয়ার পর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ বোরো চাষি নিঃস্ব হয়ে যায়। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসীর পক্ষ থেকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি করা হলেও আইন বলে সরকার তা আমলে নেয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে হাওরবাসীকে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় শতভাগ ফসলহানি হলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বার বার দাবি করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ ৯০ ভাগ। এছাড়া বোরো ফসল ডুবে যাওয়ার পর সেখানে শুরু হয় মাছ, হাঁস ও অন্যান্য জলজ প্রাণির মড়ক। ফলে বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরা নিষিদ্ধের পাশাপাশি পানিতে চুন ফেলে বিষক্রিয়া কাটানোর চেষ্টা করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে।