শ্রীপুরে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা চার সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি
টি.আই সানি, গাজীপুর Channel 4TV : শ্রীপুরে বিচার না পেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বাবা ও মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় চার সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৩ মে) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আলীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হেড কোয়ার্টার শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদিরা আক্তার, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান এবং গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সুলাইমান। তাদের আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বাবা ও মেয়ের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে কিনা তা জানতে সোমবার (১ মে) রাতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুরকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে শ্রীপুর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশের আউটার সিগন্যালের কাছে বাবা ও মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। প্রীপুরের গোসিংগা ইউনিয়নের কর্নপুর (সিটপাড়া) গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হযরত আলী (৪৫) ও তার পালিত কন্যা আয়েশা আক্তারের (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আয়েশা আক্তার শ্রীপুরের হেরা পটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রেণিতে পড়ত। হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগমের অভিযোগ, শিশুটির শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় বিচার না পেয়ে তাকে নিয়ে তার বাবা আত্মহত্যা করেছে। হালিমা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশী ফারুক ও মেম্বার আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। হালিমার দাবি, ৮ বছর বয়সী আয়েশাকে মাঝেমধ্যে ফজলুল হকের ছেলে ৩০ বছরের ফারুক সাইকেলে চড়াতেন। এর মধ্যে একদিন মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন তিনি। প্রায় দুই মাস আগের এ ঘটনার বিচারের দায়িত্ব নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন। কিন্তু ফারুকের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে কোনও মীমাংসা ছাড়াই তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেন। ফারুকের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা দামের একটি গরু চুরি এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন হালিমা। আয়েশাকে নির্যাতন করায় ফারুকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন বলেও জানান হালিমা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।