প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ধারে ধারে ঘুরছে উপজাতী নজিদ মারাক
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি Channel 4TV : ময়মনসিংহের ভালুকায় জীবন প্রায় শেষ প্রান্তে এসে গেছে।এখনও আশায় আশায় ঘুরছে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, নেতাদের আশার বাণী ভাতা পাবে। কিন্তু কবে নাগাদ তার ভাতা হবে সেই আশায় বুক বেঁধে আছে ৬০উর্দ্ধ বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক । দিন যায়, বছর যায়, নির্বাচন যায়, জনপ্রতিনিধি পাল্টায় কিন্তু ভাগ্য ঘুরে না নজিদের। প্রতিবন্ধী ভাতা নামক সোনার হরিণ তাকে আজও ধরা দেয় নাই। (৫মে) শুক্রবার সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত জগীন সাংমার ছেলে প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক (৬৫)একটি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরছে। কিন্তু তার ভাগ্যে এখনও কোন ভাতার ব্যবস্থা হয় নাই। নজিদ মারাক কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, বাপ দাদার আমল হতে নৌকায় ভোট দেই। আমার ১টি হাত ও ১টি পাঁ অচল । একটি ভাতার জন্য পর পর ৩টি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে ছিলাম। তারা সবাই বলছে পাবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে তারা পাল্টে যাচ্ছে, কিন্তু আমার ভাগ্য পাল্টে না। মানুষের কাছে চেয়ে চেয়ে এনে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। আমার সংসার বলতে কেউ নাই। বউ, ছেলে মেয়ে তারাও প্রায় ৩০বছর আগেই আমাকে ফেলে হালুয়াঘাট চলে গেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাকে একটি ভাতার ব্যবস্থা করলে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কিছুটা হলেও কষ্ট লাগব হতো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ আপনি তো গরীবের দুঃখ দূর্দশা দেখেন তাই আমাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দিলে আপনার কাছে কৃতঙ্গ থাকতাম। ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, আমার কাছে যা ছিলো তা দিয়ে দিছি। আগামীতে আসলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হবে।