চোখের কৃত্রিম লেন্সের দাম নির্ধারণ
হার্টের রিংয়ের পর সরকার এবার চোখের কৃত্রিম লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫টি ব্র্যান্ডের লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মানভেদে ১২শ টাকা থেকে শুরু করে ৫৮ হাজার টাকায় কৃত্রিম স্বচ্ছ লেন্স কিনতে পারবেন রোগীরা। কেউ এই দামের বাইরে লেন্স বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। কোনো কিছু দেখতে চোখের যে অংশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটি হচ্ছে লেন্স। ছানি পড়াসহ অন্যকোনো কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা কার্যক্ষমতা হারালে প্রয়োজন পড়ে কৃত্রিম লেন্স বা ইন্টা অকুলার লেন্সের। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে জন্মগতভাবে পাওয়া লেন্স সরিয়ে, চোখে বসানো হয় কৃত্রিম স্বচ্ছ লেন্স। প্রতি বছর দেশে বহু রোগীর দরকার পড়ে এমন লেন্সের। কিন্তু দেশের বাজারে কোনো মান ও দামের বাছবিচার ছাড়াই বিক্রি হয়, এই ইন্ট্রা অক্যুলার লেন্স। এই নৈরাজ্য নিয়ে গেলো বছর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর জাতীয় চক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট ওই হাসপাতালে ঠিক করে দেয় লেন্সের দাম। এবার হার্টের রিং এর মতো, সব হাসপাতালে কৃত্রিম লেন্সের দামও ঠিক করে দিলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এখন থেকে নিবন্ধিত ৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১৫টি ব্র্যান্ডের লেন্স নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হবে। মানভেদে যার দাম হবে ১২শ টাকা থেকে শুরু করে ৫৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই দাম নির্ধারণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, রোগীদের সাথে এতোদিনের প্রতারণার অবসান হবে এতে। এরইমধ্যে সরকারি-বেসরকারি সব চক্ষু হাসপাতালে লেন্সের দামের এই মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। একইসাথে লেন্সের মোড়কের গায়েও, এর দাম, প্রস্তুতকারক দেশের নাম ও মেয়াদ উল্লেখ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।