বিশ্ব কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখবে ফ্রান্সে ?
পনের বছর আগে, ভোটের মাঠে বাবা জ্য ল্য পেনকে আটকে দিয়েছিলো, ফরাসি জনগন। এবার মেয়ের পালা। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি দেখবে বিশ্ব? নাকি জরিপ উল্টে দিয়ে, প্রথমবারের মত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যাবে কট্টরপন্থী মেরিন ল্য পেনকে। যদিও, বিশ্বায়ন বিরোধীর ধোয়া তুলে নির্বাচনী প্রচারণায়, বাংলাদেশ ও মরক্কো থেকে টি-শার্ট কিনে তুমুল বিতর্কের মুখে রয়েছেন, তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিতর্কিত ল্য পেনের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং উদার ফরাসিদের নতুন নেতা হতে পারেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
২০০২। বিকল্প নেতার খোঁজে, ফরাসিরা। সেবার, সমাজতন্ত্রীদের পরাস্থ করে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়ধাপে রিপাবলিকান জ্যাক শিরাকের প্রতিদ্বন্দ্বী হন, কট্টরপন্থী জ্য মেরিন ল্য পেন। পনের বছর পর, ঘটনাপ্রবাহে, ফ্রান্সের রিপাবলিক-সমাজতন্ত্রী দুই দলের বাইরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, উদারপন্থি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কট্টর ডানপন্থী মেরিন ল্য পেন।
এবারও কী ঠেকানো যাবে, কট্টর জাতীয়বাদিদের? এমন প্রশ্ন-ই এখন সাধারন ফরাসিদের মনে। বিশেষ করে অভিবাসী ও মুসলমানরা শঙ্কায় আছেন, মেরিন ল্য পেনকে নিয়ে। মসজিদ বন্ধ, অভিবাসীদের বিতাড়িত করা আর বিশ্বায়ন বিরোধী, নানা বক্তব্য দিয়ে সেই শঙ্কাই উসকে দিয়েছেন, কট্টর ডানপন্থী এই নারী প্রার্থী।
১৯৬৩ সালে, স্টুডেন্ট ভিসায় বেনিন থেকে ফ্রান্সে যান, জিমা বোরাইমা। ফ্রান্সের রাজনীতির নানা উত্থান পতনের সাক্ষী এই মুসলিম নারী। ল্য পেনের উত্থানকে অভাবনীয় বলছেন, জিমা। তবে, তার বিশ্বাস, ল্য পেনের মত এমন নারীকে নেতা হিসেবে বেছে নেবে না, ফরাসিরা।
অবশ্য, 'মেইড ইন ফ্রান্স' নামে জাতীয়তাবাদকে পুঁজি করে রাজনীতির মাঠ সরগরম করলেও, ল্য পেনের নির্বাচনী প্রচারণায়, বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট বিক্রি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, ফ্রান্সে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বিতর্ক জন্ম দেয়ায়, ল্য পেনের প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা ক্ষীন। তাদের প্রত্যাশা, একজন উদারপন্থীর হাতেই ক্ষমতা তুলে দেবেন, ফরাসিরা।
ক্ষমতায় যে-ই আসুক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম, রিপাবলিকান ও সমাজতন্ত্রীদের বাইরে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন নতুন কেউ।