‘শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে আ. লীগ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উৎপাদন ও উন্নয়নে যাদের প্রত্যক্ষ অবদান তাদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত মজুরী নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুস্থ ও মেহনতি শ্রমিকদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এছাড়া, দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ইনজুরি স্কীম চালু করা হবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রকে শপথ বাক্য পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২য় বারের মত জয়লাভ করেন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বকুল হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ বাক্য পড়ার মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত শ্রমিকদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
শ্রমিকদের জন্য সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক উন্নয়নে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার একশো শিল্প-কলকারখানার কাজ করছে। সব শ্রেণীর শ্রমিকদের সন্তানদের আমরা শিক্ষার সুব্যবস্থা করেছি। একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তহবিলে ২শ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যা থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সন্তানকে পাঁচ কোটি টাকার বিভিন্ন শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিক সন্তানদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তাদের সাহায্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাগত রোগ-ব্যাধির কারণে কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সে লক্ষ্যে শ্রমিকদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল ও টেকসই স্কিম চালু করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কিংবা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য ২ লাখ, এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকার স্কিম রয়েছে। তহবিল থেকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের এই অর্থপ্রাপ্তি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। সেখান থেকে তারা জেনে নিতে পারবেন।
শ্রমিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২ বছরে ১২০জনকে জার্মান ও মালয়েশিয়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অক্ষম ব্যক্তিকে পেনশনের ব্যবস্থারও চেষ্টা করে যাচ্ছি। বড় দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ৬০ জন মেহনতি-দুস্থ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।