শ্রীপুরে চিড়া-মুড়ি মিলের কুঁড়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
টি.আই সানি,গাজীপুর Channel 4TV :
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা দায়পাড়া ও ছায়াকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় অ-ব্যবস্থাপনায় মিতালী ফুড প্রোডাক্টস চিড়া-মুড়ির মিলের কুঁড়ার প্রভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। প্রতিনিয়ত মিলের কুঁড়া উড়তে থাকে, এতে করে এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দায়পাড়া ও ছায়াকুঞ্জ এলাকার প্রত্যেকটি বাড়ি ঘরের চালে কুঁড়ার স্তুুপ পড়ে আছে। গাছ-পালা, লতা-পাতা কুঁড়ার রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ তাদের ২৪ ঘন্টা বাসার দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হয়, খাওয়া দাওয়া সহ গৃহস্থালীর নানা কাজ দরজা জানালা বন্ধ করেই করতে হয়,এমন কি বাহিরে ভিজে কাপড়ও শুকানো যায় না কুঁড়ার কারনে।
পঞ্চম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী অপসরা বলেন,কুঁড়া উড়ার কারনে সব সময় জানালা বন্ধ করে পড়তে হয়। মুক্ত বাতাস কাকে বলে সে জানেনা। দিনের বেলাতেও জানালা খুলে পড়তে পারেনা তাই লাইট জ্বালিয়ে পড়তে হয়। বিদ্যুত চলে গেলে আর পড়া হয় না।
স্থানীয় কৃষক ঈমান আলী হাজী বলেন, চিড়া-মুড়ির মিল মালিককে এলাকার পক্ষ থেকে নানা অসুবিধার কথা বলা হয়েছে এবং স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তুুু মিল মালিক কাউকে তুয়াক্কা করছেন না।
গৃহিনী আকলিমা বলেন, কুঁড়ার কারনে ঘর থেকে আমরা বাইরে যেতে পারিনা, বাচ্চারা বাইরে যেতে পারছেনা,খেলতে পারছেনা, প্রতিনিয়ত বাচ্চাদের হাঁচি-কাশি লেগেই আছে, এ দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ছায়াকুঞ্জ এলাকার আইনুদ্দিন বলেন, এলাকায় অস্বাস্থকর পরিবেশ তৈরি করে চিড়া-মুড়ি মিলের মালিক আশ-পাশের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং সরেজমিনে দেখে মিল কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক করতে সকল মহলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
চিড়া-মুড়ির মিল মালিক নুরুল হুদা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র নিয়েই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করছি।
এলাকাবাসীসুত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে ২০১৬ইং তারিখ তৎকালীন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তারা একটি লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।