মুন্সীগঞ্জে ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতি কারক বিষাক্ত কয়লা ও কাঠ । আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :মুন্সীগঞ্জের ইট ভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষাক্ত কয়লা ও কাঠ কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই স্কুল পড়ুয়া শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে কাজ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কিছু-কিছু ইটভাটা কাগজ পত্র থাকলে ও অধিকাংশ ইটভাটার নেই কোন ছাড়পত্র তবুও অবৈধ ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন এসব অবৈধ ইটের ব্যবসা। অবৈধ ভাবে পোড়ানো হচ্ছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কারক বিষাক্ত কয়লা ও কাঠ শিশুদের দিয়ে জোর করে করানো হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ এই কাজ। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কাঠ পোড়ানোর নিষেধ আজ্ঞা রয়েছেএবং নিষেধ রয়েছে শিশুশ্রমের ও কিন্তু তা মানছেন না মুন্সীগঞ্জের প্রভাব শালী বেশ কিছু ইটভাটার মালিকেরা। তাদের ইচ্ছামত কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে পুড়িয়ে যাচ্ছেন কাঠ এবং বিষাক্ত কয়লা এবং কাজ করাচ্ছে শিশুদের দিয়ে। এমন কর্মকান্ড চলে আসছে জেলার ৬ টি উপজেলার প্রায় ৬০ টির ও বেশি ইটভাটায়।জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের হোসেন ভান্ডারি,ইকবাল হোসন, নাসির উদ্দিন মেম্বার ও সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার সিমান্তবর্তী ইছামতি নদীতীর ঘেষা কুড়েরপার নামের একটি ইটভাটায় সহ জেলার বেশির ভাগ ইট ভাটায় চলছে এমন কার্য ক্রম, জেলা প্রশাসনের অ-ব্যবস্থাপনার কারনে এসব ইটের ভাটার অনিয়ম গুলো-ই যেন এখন নিয়মে পরিনিত হয়েছে। ছাড়পত্র বিহীন অধিকাংশ ইটেরভাটা। তার পরেও চালিয়ে যাচ্ছে এ সব অনিয়ম।এ যেন আলোর নিচে অন্ধকার। এমন অনিয়মের চিএ তুলে ধরতে গেলে ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে আশে প্রাণাশের হুমকি দুমকি সহ অসৎআচরনের শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের দৈনিক এক একটি ইটভাটায় ৫০ থেকে ১০০ মন কাঠের পাশাপাশি পোড়ানো হচ্ছে বিষাক্ত কয়লা এবং কোন প্রকার ছাড়পত্র নেই এমনটাই শিকার করে বলতে গিয়ে ইটভাটার ম্যানেজার মিজান, পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরা এরিয়ে যান। ইটভাটা গুলো বেশির ভাগ নির্মিত হয়েছে জন বসতি এলাকায় এবং নদ-নদীর কাছা কাছি যার কারেন স্কুলে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়না স্থানীয় শিশুদের পাশাপশি টাকার অভাবে পড়াশুনা করতে পারছেনা অনেক শিশুরা তাই এখানে সারাদিন কাজ করে ২ থেকে ৩ শত টাকা উপার্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এমন কথা বলেনইট ভাটায় কর্মরত শিশু শ্রমিক ও তার ¯^জনরা তবে সরকারী সহযোগীতা পেলে এসব শিশুদের পড়াশুনা করা সম্ভব এবং তারা পড়াশুনার সুযোগপেলে দেশের জন্য বড় ভুমিকা রাখতে পারতো এমনটা জানান তাদের স্বজনরা।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলায় যে সকল ইটভাটা রয়েছে তার মধ্যে কিছু সংক্ষক ইটভাটাকে আমরা ছাড়পত্র দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সব ইটভাটা পরিদর্শনের জন্য একটা কমিটি রয়েছে এবং সেই কমিটির সুপারিশ নিয়ে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের বাইরে কোন ইটভাটা থেকে থাকে তাহলে আমরা এর আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি বলেন শুনেছি বেশ কয়েকটি ইটভাটায় স্কুল পড়ুয়া শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে এটা শ্রম আইনের সুপষ্টলঙ্গন। এই বিষয়গুলো তদন্ত করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আশ্বাস দেন তিনি। আর স্কুল পড়ুয়া যে সকল শিশুরা সেখানে কাজ করে তাদের স্কুল জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন তিনি।পরিবেশের ক্ষতি কারক ও শিশুদের কাজে লাগানোকারী ইট ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নিবেন