গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম ফখরুল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
এম এ লিংকন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর Channel 4TV মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসে নতুন সংযোগ দেওয়ার নামে চলছে অর্থ বানিজ্য।ডিজিএম ফখরুল উদ্দিন যোগদান করার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অফিস পরিচালনা করে আসছেন, তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টার সময় অফিসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাসায় গিয়ে বসে থাকেন অফিসের সরকারী মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানান, ডিজি এম ফখরুল উদ্দিন যোগদান করার পর থেকে উপজেলার কোন গ্রামে বিদ্যুৎ থাকে না।এতে সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ডিজিএম ফখরুল উদ্দিন আসার পর থেকে উপজেলার কোন গ্রামে বিদ্যূৎ থাকে না। তার অনিয়মের ব্যপারে কোন গ্রাহক অভিযোগ তুললে তিনি সেই গ্রামের বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে রাখেন। নতুন সংযোগ প্রত্যাশিত গ্রাহকরা জানান,
আমাদের সংযোগ নিতে মিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
মিটার সংযোগ দিতে সহকারী ব্যবস্থাপক ফখরুল উদ্দিন ইতোমধ্যে অফিসে বেশ কিছু দালাল নিয়োগ করেছেন। ডিজিএমের নিয়োগ করা দালালরা নতুন সংযোগ প্রত্যাশী গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে চালাচ্ছে অর্থ বানিজ্য।
নতুন মিটার প্রত্যাশী গ্রাহকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ফখরুল উদ্দিনের সংযোগ ফিসের টাকা জমা দিতে গেলে মিটার দেওয়া বন্ধ রয়েছে বলে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ তার নিয়োগ করা দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে সংযোগ লাগানো হচ্ছে ।
গতকাল বকেয়া বিদ্যুৎ বিলি আদায় করিবার জন্য বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ডিজিএম ফখরুল উদ্দিন মেহেরপুর পপ্লী বিদ্যুৎ সমিতি গাংনী পৌরসভা বাশবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান জানান আমার ২ মাসে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল বাকী ছিলো বাশবাডীয়া বাজারে বিলটি পরিশোধ করিতে আসলে অনেক বিল নিলেও আমার বিল টি গ্রহন করেনি।পবে ন্যায় ২দিন আগে মাইকিং করে জানালেও এবার তা করা হয়নি বরং মানুষ ধার দেনা করে বিল পরিশোধ বাধ্য হয়েছে ফলে জনসাধারনে মধ্যে ক্ষোবে সৃষ্টি হয়েছে। টাকা না নিয়ে আমার বাড়ী সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। গত কয়ে দিন আগে আমার গর্ভধারিনী মা ব্রন স্ট্রোক করেন প্রচন্ড গরমে তিনি মারা যাবেন। বাডী সংযোগ বিছিন্ন করবেনা স্যার। ডিজিএম বলেন” ডিছি ইজ মাই অর্ডার” তোর বাড়ী সংযোগ বিছিন্ন করা হবে। মান্নান তার মায়ে জন্য আকুতি করে বলে আমার মা মৃত্যু শয্যায় ব্রন স্ট্রোক এর কারনে কুষ্টিয়া মেডি কলেজ হাসপাতাল ও যশোয় আর্মি হাসপাতাল থেকে বাডীতে ফেরত এনেছি মায়ের কথা বিবেচনা করে স্যার লাইন টি কেটেনা কিন্তু তার পরও কোন ফল হয়নি গাংনী উপজেলার মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদস্য দের বর্তমান ডিজিএমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অফিযোগ ।
মিটার দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিজিএম ফখরুল উদ্দিন বলেন , আমি অফিস থেকে টাকা আদায়ের জন্য সাইডে যায় সে কারণে অফিসে পাওয়া যায় না। মোবাইল ফোনটি অনেক সময় চার্জ না থাকায় বন্ধ হয়ে থাকে । এটা সম্পূর্ণ মিথা। নতুন কোন সংযোগের টাকাও নেওয়া হচ্ছে না। মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেনারেল ম্যানেজার সাথে কথা বললে তিনি জানান ডিজিএম ফখরুল উদ্দিন সরকারী মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকার কথা না কিন্ত বন্ধ কেনো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে এই প্রতিনিধি কে জানান