সীমান্ত হাটের অপেক্ষায় মেহেরপুর
আল-আমীন সিনিয়র স্টাফ রিপোটারঃমেহেরপুর Channel 4TV : সীমান্ত হাটের অপেক্ষায় মেহেরপুরের মানুষ।কবে নাগাদ হবে এই কাজ যানেনা অনেকে।সীমান্ত হাটের আশায় আছে মেহেরপুরের সাধারণ জনগন।সীমান্তে বিজিবির টহল তেমনি বিএসএফ এর কড়া টহল ও নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ।
সীমান্ত দিয়ে আগে প্রচুর পরিমাণ মাদক দ্রব্য ও অস্ত্র আসতো। এখন আর তেমন আসে না। সীমান্তের মানুষ এখন সবাই সুখে আছে।নেই কোন আতংক।এমনটাই বললেন মেহেরপুর সীমান্তবর্তী বুড়িপোতা গ্রামের হাসান ।
তবে মেহেরপুর জেলার ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে ৩টি সীমান্ত হাট হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত সে কর্মসূচির বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য আক্ষেপ রয়েছে সীমান্তবাসীরা।হাট না হওয়ায় নিজেদের তারা বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছে।
গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে সীমান্তহাট বসার কথা থাকলেও আজো সেটা বসেনি। কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলম হুসাইন ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হালিম ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান জানান, তাদের এখানে একটি সীমান্ত হাট বসার জন্য দেশের বিজিবি ও বিএসএফ পর্যায়ে হাট বসার স্থান নির্বাচন পর্যন্ত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও এগিয়েছিল বেশ। কিন্তু আজও হাট বসার বাস্তবায়ন হয়নি। হাট বসানো হলে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আমূল বদলে যেতো বলে অনেকের ধারনা।
৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির সেক্টর কমান্ডার মেজর আনম নজরুল ইসলাম জানান,হাট বসার সাইট সিলেকশন হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে ইতিবাচক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। সরকারি নির্দেশনা পেলে হাট বসানোর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আর ভাগীরতি নদী বাংলাদেশের মেহেরপুর ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলাকে বিভক্ত করেছে। অথচ স্বাধীনতার আগে দু দেশের মানুষের মধ্যে ছিলো এক অন্যরকম সেতুবন্ধন। নদী পার হয়ে দু দেশের মানুষের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবাধেই আসা যাওয়া করতো ।
মেহেরপুর জেলার গাংনী,মুজিবনগর ও সদর থানার ৮১ কিলোমিটার জুড়েই রয়েছে সীমান্ত।
বিজিবি সূত্র জানায়,মেহেরপুরের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২টি সীমান্ত রয়েছে।
৬নং বিজিবির অধিনায়ক কর্ণেল আমির মজিদ জানান,বিজিবি এবং বিএসএফ নিয়মিত পতাকাবৈঠক, ফ্রেন্ডশিপ টুর্নামেন্ট করায় এবং যৌথভাবে টহল দেওয়ায় উত্তেজনার অনেকটাই প্রশমন হয়েছে।মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য উঠান বৈঠক, মসজিদে মসজিদে মুসল্লি¬দের সাথে আলোচনা সভা ইত্যাদি আমরা নিয়মিতই করে থাকি। এ কারণে এদেশের সীমান্তবর্তী মানুষ আগের মত আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে যায় না।
মেহেরপুর পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়,আগে সীমান্ত দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের মাদক যেমন হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, কেডিন, ফেনসিডিল, তাড়ি, প্যাথেডিন, টিডি জেসিক, ভাং, কোডিন ট্যাবলেট, ফার্মেন্টেড, ওয়াশ (জাওয়া), বনোজেসিক ইনজেকশন (বুপ্রেনরফিন), টেরাহাইড্রোবানাবিল, এক্সএলমুগের, মরফিন, ইয়াবা, আইএসপিল, টলুইন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, মিথাইল, ইথানলওকিটোন আসতো। কিন্তু এখন এগুলো আর আনার সুযোগ পায় না চোরাকারবারীরা।