অন্ধকারে সরানো হলো সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য
রাতের বেলা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেয়া হল ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্য সরানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন এর ভাস্কর মৃনাল হক। বিক্ষোভ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
কংক্রিটের গোড়ায় হাতুড়ি আর শাবল দিয়ে রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক লেডি জাস্টিসের আদলে গড়া ভাস্কর্যটি যখন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরানো হচ্ছিল, তখন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন এর ভাস্কর মৃনাল হক।
দীর্ঘ এ সময়ে বেশ কয়েকবার সাংবাদিকদের কাছে ছুটে আসেন মৃনাল হক। অসহায়ত্ব ও ক্ষোভের কথা জানান অশ্রসজল চোখে।
রাত ১২টার দিকে অনেকটা গোপনেই শুরু হয় ভাস্কর্য সরানোর প্রক্রিয়া। টানা ৪ ঘণ্টা ধরে কয়েকজন শ্রমিক ভাস্কর্য সরানোর কাজ করেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ভাস্কর্য সরানোর মধ্য দিয়ে মৌলবাদীরা আরও উৎসাহ পাবে।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সুপ্রিম কোর্টের ফটকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে ভাস্কর্য সরানোর কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভাস্কর্যটি ক্রেনের সাহায্যে পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়া হয়।
২০১৬ সালে ভাস্কর্যটি নকশা করেন মৃনাল হক। ১৮ই ডিসেম্বর এটি স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন ভাস্কর্যটি সরানোর চাপ দিয়ে আসছিলো। ভাস্কর্যটি হাইকোর্টের সম্প্রসারিত ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মৃনাল হক।