মুন্সীগঞ্জের সদরে কারাগারে অন্তরীণ গর্ভবর্তী কয়েদীর সদর হাসপাতালেএ্যাবোশন!
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ Channel 4TV :
চিকিৎসার অভাবে কারাগারে অন্তরীণ গর্ভবর্তী ময়নার গর্ভের সন্তান নষ্ট হলো। কিন্তু কেউই মুখ খুলছে না। কারাকর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে কয়েদী ময়নাকে পুলিশি কড়া পাহারায় হাসপাতালে এ্যাবোশন করিয়ে ১৩নং মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে এ্যাবোশন করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ময়নাকে। গভীর রাতে তাকে হাসপাতালের ১৩নং বেডে কড়া পাহারায় শুয়ে থাকতেদেখা যায় ময়নাকে।মুন্সীগঞ্জ কারাগারের ২বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ময়না (৩৫) গর্ভবর্তী অবস্থায় জেলা কারাগারে বন্দী হন। ময়নার স্বামী সিরাজ। ময়নার গর্ভের সন্তান কারাকর্তৃপক্ষের অবহেলায় নষ্ট হয়েছে এমন ধারনা হাসপাতালে দেখতে আসা লোকদের। জানা যায়, করাগারেই তার শারীরিক সমস্যা হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালেএনে এ্যাবোশন করা হয়। কারাগার মহিলা পুলিশ জানান ময়না ৪/৫মাসের গর্ভবতী। ১মাস হয় আমাদের কারাগারে চুরি মামলায় জেলহাজতে আটক আছেন।বিষয়টি নিয়ে নানাজনের নানান কথা, ময়নাকে একপলক দেখার জন্য প্রায় ৫ ঘন্টা অপেক্ষার পর মূমূর্ষ অবস্থায় দেখা মিলে হাসপাতালের ট্রলিতে। কয়েদী ময়না হাসপাতালের ১৩ নাম্বার বেডে রয়েছেন কারারক্ষী ও পুলিশ পাহারায়।হাসপাতালে কারা পুলিশ ও থানা পুলিশের কড়া পাহাড়ায় ময়নার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। হাসপাতালের রেজিঃ খাতায় ময়নার তেমন কোনপরিচয় লেখা হয় নাই, যা আছে তাহা মাত্র কারাগারের ঠিকানা। মহিলা কারা রক্ষীসহ জেলা পুলিশ সদস্যও ছিলেন হাসপাতালে। এ বিষয় কারা পুলিশ (মহিলা) সংবাদ কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। আসামীর দেশের বাড়ী কোথায় কি মামলা তা তেমন কিছুই কারা কর্তৃপক্ষ জানাতে রাজী হননি। জৈনিক পুলিশ নাম না বলার শর্তে বলেন একমাস হয় এই মহিলাকে কারাগারে আনা হয়, তাহার বিরুদ্বে চুরির মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।এমন সময় হাসপাতাল আসা আবুল হোসেন রোগীর ভিজিটর বলেন কারো কথার সাথে কোন কথার মিল নাই, সকাল থেকে মহিলা আসামী হাসপাতালে। বড় কিছু না হলে কারাগার গেট থেকে বাহিরে আনবে কেন? এর আগেও কারাগারে আরো এক মেয়ে আসামীকে ধর্ষণ করার সংবাদ পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়।মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুল হাসান রুবেলকে ফোন করলে তিনি বলেন আমরা মহিলা আসামীদের রুটিন মাফিক গায়ীনি চেকাপ করে থাকি। সেই হিসেবে ময়নাকেও চেকাপ করার জন্য হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। ময়নার তেমন কিছুই হয় নাই। ময়নাকে এই নিয়ে তিনবার রুটিন চেকাপ করানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমার অফিসে এসে যে কোন তথ্য জেনে নিতে পারেন। কিছুই হয়নি তবে কেনইবা সকাল থেকে হাসপাতালে ময়নাকে এবোশন রুমে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কেনইবা হাসপাতালের ১৩নং বেডে ভর্তি করানো হয়েছে। যদি এই রুগীর এবোশন না করা হয়? এমন প্রশ্ন ময়নাকে দেখতে আসা অনেক ভিজিটর।কারাগার ফার্মাসিস্ট নাজনিনকে ফোন করলে তিনি বলেন মহিলা কয়েদী দুই বছরের সাজা নিয়ে জেলখানাতে গর্ভ অবস্থায় আসেন। আমি বিষয়টি গত দের/ দুই মাস আগেই তাহার বিষয় অবগত আছি। মহিলা কয়েদীর যার চিকিৎসা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালেই করছেন।