গাংনীতে স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে আটকে রেখে- ৪দিন যাবত দেহভোগ
মেহেরপুর থেকে সংবাদদাতা: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা শহরে এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রকৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে ৪দিন যাবত দেহভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের শ্রমিক সর্দ্দার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে ওবাইদুল্লাহর সাথে গাংনী শহরের মাদ্রাসাপাড়ার এক স্কুল ছাত্রীর প্রেমেজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে ওবাইদুল্লাহ ওই স্কুল ছাত্রীকে ভাগিয়ে অন্যত্রে নিয়ে যায়। এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুজি করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে ছাত্রীর বাবা ওবাইদুল্লাহকে দায়ী করে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার মেয়েকে প্রেমিকরুপি ওবাইদুল্লাহ ৪দিন যাবত দেহভোগ করেছে বলেও পুলিশ ও স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ তোলেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও মাতব্বরেরা ওবাইদুল্লাহর বাবা গিয়াস উদ্দীনকে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওবাইদুল্লাহর বাবা গাংনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুদ্দিনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে তার বাবার কাছে ফেরত দেন।
পরে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই ছাত্রীকে তার বাবার হাতে বুঝিয়ে দিয়ে মীমাংসা করেন।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান,বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার কোনো সুযোগ নেয়। অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়েকে এ ধরণের কর্মকান্ড করার বিষয়টি আইনের বাইরে নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।