নবীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১,পুলিশসহ আহত ২০ আটক ২ ২৩রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সবুর আলী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে পুলিশ কনষ্টেবলসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষকালে ২০/২৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। শনিবার সকালে পুর্ব কত্রুতার জের ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের পক্ষের লোকজন ও সাবেক মেম্বার ফরজ আলীর লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র সংঘর্ষ সৃষ্ঠি হয় । সংঘর্ষে’কালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় পিকল, লাটিসোটাসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। সংঘর্ষে কানাইপুর গ্রামের মৃত তকদির আলীর ছেলে সবুর আলীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এসময় ভাংচুর করা হয় ২০/২৫টি বাড়িঘর । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টাকালে ৩ জন কনষ্টেবল আহত হয় পরে ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন আহত সবুর আলী (২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আহতদের মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং আশংকাজনক অবস্থায় ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে । সবুর আলী নিহতের খবরে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ নিহত সবুর আলীর ছুরতহাল তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে। এলাকায় উত্তোপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আতাউর রহমান জানান, সকালে ওই গ্রামের আব্দুল বারিকের পক্ষের লোকজন ও সাবেক মেম্বার ফরজ আলীর লোকজনের মধ্যে মসজিদের জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষ বাধেঁ । এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন সবুর আলী। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয় পরে কানাইপুর গ্রামের মিয়াধন মিয়া’র পুত্র আলমগীর হোসেন, শফিক আলীর পুত্র রোমন আহমেদ (১৮) নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ।