কোন শাখায় কত সোনা অবৈধ আপনের
আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে জব্দ করা সাড়ে ১৩ মণ সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করার পর আপনের প্রত্যেকটি শোরুমে থাকা অবৈধ সোনার বিবরণ দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারি পরিচালক দীপা রানী হালদার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অবৈধ সোনার হিসাব দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট থেকে ৯০ কেজি ৩৪৩ গ্রাম, গুলশান এভিনিউ (সুবাস্তু) থেকে ২০৩ কেজি ৯শ গ্রাম, উত্তরা শাখা থেকে ৮৬ কেজি ৯ শ’ ৫৮ গ্রাম, সীমান্ত স্কয়ার থেকে ১০১ কেজি ৯৪ গ্রাম, মৌচাক শাখা থেকে ৫৪ কেজি ২শ ৬৪ গ্রাম অবৈধ সোনা উদ্ধার করে।
এছাড়া শুল্ক গোয়েন্দা উক্ত শাখাগুলো থেকে ৭ হাজার ৩ শ’ ৬৯টি ডায়মন্ডের অলংকার উদ্ধার করে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২৫ কেজি স্বর্ণের বিষয়ে আপন জুয়েলার্স গত ৩০ মে বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন যাত্রীদের আনা ব্যাগেজ রিসিপ্টের ফটোকপি জমা দেয়। এই যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহভাজন ১৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ৬ মাসে ১৮ বারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছে।
এরা কোন চোরাচালানের সাথে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া বিদেশে যাওয়ার সময় ৫ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার ক্ষেত্রে ঘোষণা দেয়ার বিধান থাকলেও এই যাত্রীরা তা দেয়নি। তাই বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের বিষয়েও তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এতে আপন জুয়েলার্সের সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখবে বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা।
রোববার সিল করে রাখা আপন জুয়েলার্সের শোরুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ জব্দ করে সরকারি কোষাগারে (কেন্দ্রীয় ব্যাংকে) নেয় শুল্ক গোয়েন্দা। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এই বিপুল স্বর্ণ শুল্ক গোয়েন্দা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়।