খালেদা জিয়া ও মওদুদ আহমেদের বাড়ি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ছাড়তে হয়েছে-ওবায়দুল কাদের
রবিউল ইসলাম টঙ্গী Channel 4TV :
বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের বাড়ি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ছাড়তে হয়েছে, এতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ঈদ উপলক্ষে গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্যান্টনম্যান্টের মইনুল রোডের বাড়িও উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়তে হয়েছে। সেখানেও সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কাপড় ছাড়া খালি গায়ে এলাকা ছেড়েছে। সেটা জনগণ ভুলে যায়নি। সেসময় নির্বাহী আদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দকৃত গণভবন ও ধানমন্ডিতে শেখ রেহেনার জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িটিও কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া ও মওদুদ অবৈধভাবে বাড়িতে ছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর যেসব সংস্থা রায় বাস্তবায়ন করার কথা, সেসব সংস্থা সে রায় বাস্তবায়ন করেছে। এসবের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপির ভূমিকা সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নির্বাহী আদেশে শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন এবং শেখ রেহানার বাড়ি বাতিল করেছিল। কিন্তু মওদুদ ও খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এসময় মন্ত্রী জানান, ঈদ উপলক্ষে রাস্তগুলো যাতে যানবাহন সহজে চলাচল করতে পারে। সেজন্য আমরা রাস্তা পরিদর্শনে নেমেছি। রাস্তা অনেক সময় দখল হয়ে থাকে। দখলের জন্য যানবাহন চলাচল বিঘিœত হয়। এর মধ্যে এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট সেটা হলো চেরাগআলী। যদি চেরাগ আলীতে রাস্তার উপর কাঁচা বাজার না বসে এবং রাস্তার দখল না হয়ে থাকে তাহলে যান চলাচলা করতে পারবে। এর মধ্যে আমি কয়েকটি পয়েন্ট পরিদর্শন করেছি। আমি কোনাবাড়িতেও গিয়েছি। চন্দ্র, কালিয়াকৈর ভিজিট করেছি। কোনাবাড়িতে আমি একদিন যাব। এদিকে ভুলতা গিয়েছি। সাভার রোডে হেমায়েতপুর যেখানে সমস্যটা হয় সেটাও ভিজিট করেছি। তবে আমি আশা করছি ঈদে রাস্তাগুলো ভিজিবল ও প্লাছিবল থাকবে এবং যানবাহন চলাচলে যানযট সহনীয় মাত্রা আমরা রাখতে পারবো।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ঢাকা বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সিটি মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।