পাহাড় ধসে নিহত ৮৯
আশ্রয়স্থলই হয়ে গেলো, সমাধিক্ষেত্র। বাড়ছে, মৃত্যুর মিছিল। টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে বৃহত্তর চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৮৯ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। শুধু রাঙ্গামাটিতেই চার সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত হয়েছেন ৫৮ জন। এছাড়া, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাঙ্গামাটির সাথে বন্ধ রয়েছে, সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ। শোক জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন। রাঙ্গামাটিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন, সেনপ্রাধান।
পাহাড়ধসে আবারও প্রাণহানি বৃহত্তর চট্টগ্রামে। দুদিনের টানা বর্ষণের কারণে এসব ঘটনা ঘটে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাঙ্গামাটিতে। অতিবৃষ্টিতে শহরের টিভিকেন্দ্র এলাকায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত হয় চারজন। এছাড়া, কাপ্তাইসহ জেলার বিভিন্নস্থানে প্রাণ গেছে আর ১০ জনের। কোথাও কোথাও লোকজন আটকা পড়ার খবরও মিলেছে। এরআগে সোমবারও সেখানে পাহাড়ধসে মারা যায় দুই শিশু।
বান্দরবানেও আলাদা তিনটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সদরের কালাঘাটা কবরস্থানের পাশে মারা যায় রেবা ত্রিপুরা নামে এক কলেজছাত্র। শহরের লেমুঝিরি এলাকায় তিন শিশু এবং কালাঘাটা জেলেপাড়ায় মাটি চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে রাঙ্গামাটির।
এদিকে, চট্গ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি এলাকায়ও পাহাড় ধসে প্রাণ গেছে ৪ জনের। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।