মুন্সীগঞ্জে অবৈধ দখলগ্রাসে বিলুপ্তির পথে রজতরেখা নদী
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি Channel 4 TV : মুন্সিগঞ্জ তথা প্রাচীন বিক্রমপুর পরগনার নদীগুলোর অন্যতম রজতরেখা নদী । পদ্মা থেকে উৎপত্তি হয়ে জেলার টঙ্গীবাড়ী ও সদর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে একে বেকে ১০-১২কি.মি অতিক্রম করে নদীটি মিশেছে ধলেশ্বরী নদীতে । ধবধবে সাদা উত্তাল জলরাশির জন্যই নদীটির নামকরণ রজতরেখা হয়েছে বলে ইতিহাস অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। তবে কালের বিবর্তনে সে ধবধবে উত্তাল জলরাশি হারিয়ে নাব্যতা সংকটে নদীটি শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে সামান্য জলস্রোত থাকলেও বাকিসারা বছর নদীটি শুকিয়ে নিছক এক নালায় পরিনত হয় ।শুকিয়ে যাওয়া নদীটিতে আবার মরার উপর খরার ঘা এর মতো চলছে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের দখলগ্রাস । ক্রমাগত বেদখলে ৪৮০ ফুট প্রস্থের নদীটি বর্তমানে ৬০-৭০ফুট এসে দাড়িয়েছে । এভাবে চলতে থাকলে একসময় নদীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা । মঈগলপাখি বার সরজমিনে নদীটির উৎপত্তি স্থল টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, পলি জমেনদী মুখ অনেকটা বন্ধ হয়ে আসছে । তার উপর পদ্মা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে রজতরেখার উৎপত্তি স্থলের কয়েকশ ফুট দূরে চলছে অবৈধ ভরাট কাজ । স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, শিলই ইউপির সাবেক সদস্য ইসমাইল বেপারী ও হাজী শাহাদাত বেপারী গংরা ঐ ভরাট কাজ চালাচ্ছে। নদী সংলগ্ন বাজারটির লোহাকাঠপট্রি এলাকায় কাঠ ব্যবসায়ী জহির মাঝি, শহিদুল্লাহ মন্ডল, মুজিবর রহমান, মান্নান দেওয়ানসহ একাধিক ব্যাক্তির নদীর উপর গড়ে তুলা অবৈধ স্থাপনা দেখা যায় ।উৎপত্তিস্থল হতে প্রায় ২ কিঃ মিঃ জায়গা জুড়ে এক শ্রেণির স্বার্থলোভী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীটি ভরাট করে চলেছে বলেও স্থানীয় কয়েকজন channel4tv কে জানান। বাজারের দোকানদার সোহেল টিটু জানায়, নদীটি একসময় খুব বড় ছিল শিশু বয়সে নদীতে নামতে ভয় পেতাম । এখন বাচ্চারাও এক লাফদিয়ে নদী পার হতে পারে । ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মফিজুল শেখ বলেন, এই নদী দিয়া অনেক চলছি বাবা , লঞ্চ চলতো লঞ্চ । এখন তো বর্ষাকালেও খোশা নাউ (ডিঙ্গি নৌকা) চলে না ।টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় নদীটি সংলগ্ন বেশনাল, পুরা বাজার , রহিমগঞ্জ বাজার(বিয়াইনা বাজার) ও সদর উপজেলা শিলই, মাকহাটি এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অবৈধ দখলে সবর্ত্র নদীটি সংর্কীন হয়ে গেছে । নদী দখলের বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহিদুল হক পাটোয়ারী জানায়, বেশ কিছুদিন পূর্বে আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ে অবৈধ ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এরপরও কেউ করে বেদখল কার্যক্রম চালিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।