বাংলাদেশি কূটনীতিক শহিদুল জামিনে মুক্ত
নিউইয়র্কে গৃহকর্মীর বেতন না দেয়া এবং জোর করে হুমকি দিয়ে ও শারীরিক নির্যাতন করে গৃহকর্মীকে কাজে বাধ্য করার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি কূটনীতিক মো. শহিদুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টার দিকে তাকে জামিন দিয়ে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে অবস্থিত ভারমন সি বেইন কারেকশনাল সেন্টার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
নিউইয়র্কে কনস্যুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ-এর কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া শহিদুলের জামিনের পর তিনিই শহিদুলকে নিয়ে আসেন বলেও জানান।
সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, সোমবার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের (৪৫) বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, শ্রমিক পাচার অভিযোগ আনা হয়। তিনি ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।কুইনসের পাশেই জ্যামাইকা স্টেটে বসবাস করতেন তিনি।
ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক আঠারো ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান।
বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি। আগামী ২৮ জুন তাকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে। তার বিরুদ্ধে সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর জেল খাটতে হতে পারে তাকে।
বাংলাদেশি ওই দূতাবাস কর্মকর্তা আনুমানিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই একজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে কাজ বাধ্য করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরপর মোহাম্মদ আমিন নামে ওই গৃহকর্মী গত বছরের মে মাসে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।
শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনায় মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রিফম্যান ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আন্দ্রেয়া বি রডরিগেজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে দেখা করেন।