ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত গাংনীর সূই সূতার কারিগররা।
ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত গাংনীর সূই সূতার কারিগররা। ঈদের আগে ক্রেতাদের কাছে পোশাক তুলে দেবার জন্য রাত দিন পরিশ্রম করছেন তারা। ক্রেতাদের পছন্দের ডিজাইনের পোশাক তৈরি করতে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকেই নতুন অর্ডার নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আর কয়েকদিন পর ঈদ। ঈদের দিনে সবারই নতুন পোশাক চাইই চাই। তাই পোশাকের জন্য কেউ ছুটছেন বিপনিবিতানগুলোতে। আবার কেউ কেউ নিজেদের ফিটিংমত পোশাক তৈরি করতে দোকান থেকে কাপড় কিনে ছুটছেন টেইলরদের কাছে। কারীগররা বলছেন এবার ঈদে চাপ একটু বেশি। ক্যাটালগ দেখে নিজেদের শরীরের ফিটিং করে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করছেন নারীরা। লোটাস, ফ্লোটাস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন ডিজাইনে পোশাক তৈরি করছেন তারা। আর পুরুষদের প্রথম পছন্দ ন্যারো প্যান্ট এবং স্লীম শার্টের উপর। কাজের চাপ এত বেশি যে ১৫ রোজার পর আর কোন অর্ডার নিতে পারবেন না টেইলর মালিকরা। এদিকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে কারগীরদের। প্রতিটি পোশাক তৈরিতে কমিশনে কাজ করছেন। বছরের অন্য সময় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করলেও এবার ঈদে তারা বিশ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পার বেন বলে মনে করছেন তারা।
ডাইমন্ড টেইলার্স মাস্টার মোতালেব জানান, ক্রেতারা রোজার প্রথম থেকেই তাদের পছন্দের কাপড় আর ডিজাইন নিয়ে তাদের কাছে এসেছেন। কারিগররা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ১৫ রোজার পর আর কোন অর্ডার নেয়া হয়নি। যে সব অর্ডার আছে তাতে রাত দিন কাজ করে সময় মতো পোশাক তাদের হাতে তুলে দিতে হিমশিম খেতে হবে।
বন্ধু টেইলার্সের স্বত্তাধিকারী মকলেছুর রহমান জানান, তার দোকানে ২০ জন কারিগর কাজ করছেন। অর্ডারও নেয়া হচ্ছে না। ২০ রোজার পর থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত কারিগররা কাজ করছেন। তৈরি পোশাকে পরে অনেক স্বচ্ছন্দবোধ ও মনের মত বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করতে পারেন নারীররা। এজন্য তারা ছুটছেন টেইলরের কাছে।