ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন’‘তথ্যমন্ত্রী
তথ্যন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণায় নির্মিত ‘বস ২’ ও ‘নবাব’ ছবি সেন্সর দিতে পেছন থেকে সহযোগিতা করে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তথ্যমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এফডিসির প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে ফেসবুক লাইভে চলচ্চিত্রের দর্শকদের উদ্যেশ্যে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৬টি সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক সমিতির পক্ষে খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহসভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবুসহ ১৬ সংগঠনের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতির পক্ষে বরেণ্য অভিনেতা ফারুক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা রোজিনা, অঞ্জনা। নির্মাতা অপূর্ব রানার সহযোগিতায় এ ফেসবুব লাইভ সঞ্চালনা করেন আরেক নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমী। এ ফেসবুক লাইভ করা হয় জেমীর অ্যাকাউন্ট থেকে।
চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ‘বস ২’ ও ‘নবাব’ যৌথ প্রযোজনার ছবি নয়। এদুটিই কলাকাতার লোকাল সবকিছুই ব্যবহার করেছেন। দুটি ছবির বাংলাদেশ প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার এ প্রতারণা সঙ্গে সরকারি কিছু মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু একজন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটা মেনে নিতে পারব না। যে করেই হউক সবাইকে এ দুটি ছবির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারে সৃষ্টি এ চলচ্চিত্রের ক্ষতি হতে দেব না।
রোজিনা বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করে অন্য দেশের চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠিত যারা করতে চায় তারা দেশের ভালো চায় না। এখন দেখছি এমনটাই হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না যারা এই প্রতারণা করছে।
বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘বস ২’ ও ‘নবাব’, দুটি ছবিতেই নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কিছুতেই এ দুটি ছবি হলে মুক্তি দিতে দেয়া যাবে না।
মিশা সওদাগর বলেন, যৌথ প্রযোজনার বিপক্ষের আমরা নই, যৌথ প্রতারণার বিরুদ্ধে। আমাদের স্পষ্ট কথা প্রিভিউল কমিটিও ছবি দুটি দেখে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল এ দুটি ছবিতে নীতিমালা মানা হয়নি। চলচ্চিত্রের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তথ্যমন্ত্রীর এ প্রতারণার সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
রিয়াজ বলেন. তথ্যন্ত্রীর কারণেই এ প্রতারণার ছবিদুটি সেন্সর পাচ্ছে। আমি মন্ত্রীকে অনুরোধ করছি চলচ্চিত্রে এটা বড় আঘাত। আপনি চলচ্চিত্রের স্বার্থে প্রতারণার এ ছবি দুটিকে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকুন।
খোরশেদ আলম খসরু বলেন, তথ্যমন্ত্রী একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ার জন্য পুরো চলচ্চিত্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন প্রতারণার ছবি মুক্তিতে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে। আগামীকাল বিকালে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
জায়েদ খান বলেন, যিনি আমাদেরকে রক্ষা করবেন তিনিই এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন।আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।
আবু মুসা দেবু বলেন, আমি ষাট দশক থেকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত। কখনোও দেখিনি নিজের দেশের চলচ্চিত্রকে জলাঞ্জলী দিয়ে অন্য দেশের চলচ্চিত্রকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে। বেচে থাকতে তাই দেখে যেতে হচ্ছে।