বাঙালী জাতির মুক্তির বারতা নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকার টিকাটুলির রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ আওয়ামী লীগের। সভাপতি মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানী আর সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানভিত্তিক প্রথম এই বিরোধী দল...আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও, পরে ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে নাম বদলে হয় আওয়ামী লীগ।
৫২ র ভাষা আন্দোলন, ৬৬র ছয় দফা আর ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে গণমানুষের হৃদয়ে দ্রুতই জায়গা করে নেয় দলটি। যার প্রতিফলন ঘটে ৭০ এর নির্বাচনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ জয়..বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে যায় স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে, দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয় দলটি।
৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার পর, দলে কিছুটা ভাটা পড়লেও, আবারও গতি পায় ১৯৮১ সালে। ওই বছর দেশে ফিরে দলের নেতৃত্বের ভার নেন তারই সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা। টানা ৩৬ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেন তিনি।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অর্জনের পাল্লা ভারি হলেও, ৬৮ তম বছরে তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন। এই নেতার মতে, ইশতেহারে ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার, ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন হওয়ায়, এবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলকে।
আর বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদের মতে, ২০০৯ ও ২০১৪ এর নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট ছিলো মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একত্রিত করা। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেই নির্বাচনের মাঠে এগিয়ে থাকতে চায় আওয়মী লীগ।
এ দু-নেতাই মনে করেন, গেল দুই মেয়াদে দেশের অগ্রগতি আর উন্নয়নের কারণে জনরায় আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকবে, আবারো ক্ষমতায় যাবে উপমহাদেশের প্রাচীনতম দলটি।
৬৮ বছরে আওয়ামী লীগ
৬৮ বছরে আওয়ামী লীগ। যে আদর্শ আর উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি, তা থেকে মোটেও দূরে সরে যায়নি দলটি। তবে, সময় বদলেছে; বদলেছে প্রেক্ষাপটও। মনে করেন, দলটির শীর্ষ নেতা তোফায়েল আহমেদ। আরেক নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, আওয়ামী লীগের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান।