সালাদ দিয়ে হোক আজকের ইফতার
ইফতারে প্রতিদিন ভাঁজাপোড়া খেতে অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে। তাছাড়া ডাক্তাররা বলেন, ভাঁজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাইতো ইফতারে ভাঁজাপোড়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। ইফতারে ভাঁজাপোড়ার পাশাপাশি সালাদ আইটেম হলে কেমন হয়? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ভিন্ন রকম দুটি সালাদের রেসিপি-
একটি বাটিতে প্রথমে এক কাপ সেদ্ধ ছোলা নিন, শসা কুঁচি আধা কাপ, একটা টমেটো ও ক্যাপসিকাম কুঁচি করা, পিঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, রসুন কুঁচি দুইটা, লেবুর রস তিন চা চামচ, অলিভ অয়েল দুই চা চামচ ও স্বাদমতো লবন। এবার সবগুলো এক সাথে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন মিনিট দশেক। এরপর ইফতারে চেখে দেখুন মজার এই সালাদটি। নির্দিষ্ট উপাদানে তৈনি এই সালাদে রয়েছে আশি গ্রাম ক্যালরি, তিন গ্রাম প্রোটিন, তিন গ্রাম আঁশ, চৌদ্দ গ্রাম শর্করা ও এক দশমিক আট গ্রাম (১.৮) চর্বি।
আর এক প্রকার সালাদ বানাতে প্রথমে তিন কাপ টমেটো, আধা কাপ পিঁয়াজকুঁচি ও ক্যাপসিকাম কুঁচি নিন, রসুন কুঁচি চারটি, সিরকা চার চা চামচ, স্বাদমত লবণ ও ধনেপাতা কুঁচি নিন। এবার একটি চামচের মাধ্যমে সব এক সঙ্গে মিশিয়ে ইফতারিতে খেতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রাই পেনে কয়েক মিনিট ভেঁজেও নিতে পারেন।
এই সালাদে রয়েছে- ক্যালরি ১৭২ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক আট গ্রাম, প্রোটিন ছয় দশমিক ছয় গ্রাম, আঁশ নয় দশমিক দুই গ্রাম। এছাড়াও থাকছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিস ‘সি’ ও আয়রন।
এভাবে সহজেই দু'রকমের সালাদের ইফতার তৈরি করতে পারেন। ডাক্তাররা বলেন, রমজান মাসে বেশি বেশি শাকসবজি, ফলমূল ও তরল খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, শরীর থাকে সতেজ। যারা সালাদ খেতে পছন্দ করেন তারা রমজানের পরেও বিকালে বা সকালের নাস্তার মেন্যুতে রাখতে পারেন এগুলো।