প্রস্তুত কক্সবাজার পর্যটকদের স্বাগত জানাতে
নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে সাগর পাড়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই ঈদের লম্বা ছুটিতে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের টানে অনেক পর্যটকের সমাগম হওয়ার বিষয় চিন্তা করে এসব পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোকে নানাভাবে সাজানোর পাশাপাশি সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে সাজানো হয়েছে হোটেলগুলো।
পর্যটকদের সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও হোটেল মালিক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান জানান, সব হোটেলগুলোকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ভালো বুকিংও পেয়েছি।
তবে মোটেল লাবনীর ব্যবস্থাপক রাশেদুল হক খান জানান, আবহাওয়ার কারণে এবার পর্যটকদের সাড়া একটু কম। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে তা হয়তো কেটে যাবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
পর্যটন রাজধানীতে শান্তি শৃঙ্খলা যেন ঠিক থাকে সে লক্ষে কাজ করার কথা জানিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করবো পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কেউ বেশি ভাড়া যেন আদায় করতে না পারে সে জন্য থাকবে বিশেষ টিম।
কক্সবাজারে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক। এসব হোটেলে পর্যটক ধারণ ক্ষমতা প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এমন উৎসব যেন সারা বছরই অব্যাহত থাকে এমনই প্রত্যাশা সংশ্লিস্টদের।