নবীগঞ্জের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট আবারো উত্তাল ৪ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে অবস্থিত বিবিয়ানা বিদ্যুত পাওয়ার প্লান্টের পানিতে এলাকার মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৩ গ্রামের লোকজন
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে পাওয়ার প্লান্টের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এতে পাওয়ার প্লান্ট ১ থেকে ৪ পর্যন্ত সব সাইডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি জনতা। এতে বিঘœ ঘটে বিদ্যুত পাওয়ার প্লান্টের কাজের। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের হারুনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটার দেয়। অন্যতায় আবারো ইউনিয়ন বাসীকে নিয়ে কঠোর কর্মসুচীর ডাক দেয়া হবে বলে হুসিয়ারী দেয়া হয়। জানাযায়, উপজেলার পাওয়ার প্লান্ট এলাকার পারকুল, পাহাড়পুর ও বনগাও সহ আশপাশ এলাকার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা বিদ্যুত পাওয়ার প্লান্টের পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে প্রতি দিনই সামান্য বৃষ্টিপাত হলে উক্ত সড়কে পানি জমাট হয়ে হাটু পানি থেকে কোথাও কোথাও কোমর পানি পর্যন্ত হয়ে তাকে। এতে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ করছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্ত গ্রামের লোকজন অতিষ্ট হয়ে উলেখিত সময়ে শত শত জনতা রাস্তা বাঁশ বেধে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের যানবাহনসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এবং খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে লোকজন এর প্রতিবাদ জানায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকার ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া, সুমন আহমেদ, প্রতিবাদকারী আনহার মিয়া, রোহেল মিয়া, আশিক মিয়া, হাবিব উলাহ, সাজু আহমেদ, ডাঃ আব্দুর নুরসহ অনেকেই বলেন, সামিট পাওয়ার প্লান্ট, এল এনটি, সিনাম, এন ডি ও বেঙ্গল নামের কোম্পানি গুলি এখানে বিদ্যুত পাওয়ার প্লান্টের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের কাছে একাধিক বার উক্ত রাস্তার পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপারে গিয়েছি। এ ছাড়া ও পিডিবির কর্মকর্তাদের কাছে ও ধর্না দিয়েছি কিন্তু তাহারা ও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটসহ গ্রামের অনেক ঘরবাড়ী ও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা অতিষ্ট হয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে জনতার দাবীর সাথে আমি একমত। এ ছাড়া ও আমাদের আরো ১৩ দফা দাবী তাদের কাছে রয়েছে। পরবর্তীতে যদি কর্তপক্ষ এই কাজে গাপিলতি করেন তাহলে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। এখারকার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।