মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাঁশের সাঁকো। যেন মানুষের মরন ফাঁদ
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ :মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের ধলেশ্বরীর ও ইছামতি শাখা নদীর উপর ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে প্রায় ৬ শতাধিক
স্কুল-কলেজের পড়েুয়া শিক্ষার্থী সহ হাজারও মানুষ। গ্রামটিতে একটি ব্রিজ না
থাকায় মানুষের জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের কয়রা খোলা
গ্রামটিতে স্কুল, মাদ্রাসা, স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকলেও একটি ব্রিজ না থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঠিকমত সুবিধা পাচ্ছে না
জনগন। বাধাগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামটির উন্নয়ন। সেই সাথে কোমলমতি শিশু কিশোরদের
পড়াশোনায়ও ব্যপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপারের ভয়ে স্কুলে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিক্ষার্থীরা। বর্ষা মৌসুমে ঝরঝর বৃষ্টি
আসলে বাঁশের সাঁকো দিয়েপার হওয়া যায়না। একটু বাতাস হলেই সাঁকোটি দুলতে থাকে।
তখন ভয় আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। গ্রামটিতে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলে ও
সাঁকোপার হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়ার সাহস পায়না ভুক্তভুগী রোগীরা । ফলে গ্রামটির সকল উন্নয়নই যেন কোন কাজেই আসছেনা বলে মনের করছেন গ্রামবাসী।বালুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, কয়রাখোলা গ্রামের
খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী জানিয়ে একাধিক বার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আবেদন
করা হলেও কাজের কাজ হয়নি। একটি ব্যজি এখানে খুবই দরকার। ব্রীজ হলে এখানকার
অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র পাল্টে যাবে বলে তিনি মনে করেন।