ওসির হস্তক্ষেপে সংসার ফিরে পেল নির্যাতীত ফাতেমা
এম. রফিকুল ইসলাম (চট্টগ্রাম ব্যুরো)Channel 4TV : দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের তড়িৎ হস্তক্ষেপের কারনে প্রেমিকের সংসারের স্ত্রীর মর্যাদা পেল ধর্ষিতা ফাতেমা আক্তার সাথী।
জানা যায় উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মধ্যম কৌশল্যা গ্রামের চা দোকানদার আলী আহমদের ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়নারায়ন পুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার সাথীর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে উভয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ফেনীর আবাসিক হোটেলে একাদিক দিন রাত্রী যাপন করে।
মেলামেশার এক পর্যায়ে সাথী ২ মাসের অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক আরিফ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফলে গত সোমবার মেয়ে পক্ষ হইতে বিষয়টি লিখিত আকারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে,অভিযুক্ত আরিফ কে গ্রেফতারের জন্য
ওসি আজাদ কোরাইশমুন্সি পুলিশ ফাডিঁর ইনচার্জ এসআই সাইফুল কে নির্দেশ দিলে ওই দিন অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পরদিন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ও উভয় পরিবারের সন্মতিতে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়।
অভিযোগকারী জানায়, ওসি স্যারের হস্তক্ষেপের কারনে আমি ন্যায্য বিচার পেলাম এবং আমার সন্তান পিতৃ পরিচয় পেলো।
থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, তারা সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু আমাদের কাছে অভিযোগ আসার কারনে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি এবং আমাদের কর্তব্যরত এসআই মো: সাইফুল ইসলামের দ্রæত তত্ত¡াবধানে আমরা অভিযুক্তকে আমাদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি। সকল প্রতিবন্ধকতার পরেও আমরা অসহায় নারীকে স্বামী সংসার ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশিঁ।