সেবা বৃদ্ধির আশ্বাস বিটিসিএল'র মোবাইলের ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে ল্যান্ডফোন,
হাতে হাতে মোবাইল ফোন আর আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঠিক পেরে উঠছে না এক সময়ের অতি প্রয়োজনীয় এই সেবা সংস্থাটি। ল্যান্ডফোনে গ্রাহক আগ্রহ বাড়াতে বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতের কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। ক্রমেই গ্রাহক হারাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি বিটিসিএল'র ল্যান্ডফোন। আর বিটিসিএল'র আশ্বাস এই মাধ্যমকে জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
দূরালাপনে এক বিস্ময়ের নাম টেলিফোন। বছর কয়েক আগেও এর ব্যবহার সীমিত ছিলো ল্যান্ডফোনেই। কিন্তু বেসকারি সেলফোন কোম্পানিগুলোর নানা চটকদার অফার আর ব্যবহার সহজ লভ্যতার কারণে স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষের আগ্রহ কমে ল্যান্ডফোনে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ল্যান্ডফোন সেবাদানকারী সংস্থা বিটিসিএল'র নানা হয়রানি। ফলে নতুন লাইন সংযোগ নেয়া দূরের কথা উল্টো নিজের বাসায় থাকা ল্যান্ডফোন ফেরত দিচ্ছেন গ্রাহকরা। অফিস আদালত ছাড়া এখন ব্যক্তি পর্যায়ে ল্যান্ডফোনের ব্যবহার এখন আর নেই বললেই চলে।
২০১১ সালে যেখানে ল্যান্ডফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ৯ লাখ ৪৩ হাজার। পাঁচ বছর পরে ২০১৬ সালের বিটিসিএল এর হিসেব অনুযায়ী তা কমে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ১৬ হাজারে।
একদিকে সেলফোনের আধুনিক সংস্করন স্মার্ট ফোনের বহুমাত্রিক ব্যবহারের ফলে গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে ল্যান্ডফোন। অন্যদিকে বিটিসিএল এর অব্যবস্থাপনাকেও এর জন্য দায়ী করছেন ব্যবহারকারীরা। আর তাই ভাটা পড়েছে কয়েক বছর আগেও রমরমা টেলিফোন সেট ব্যবসায়। যদিও বিটিসিএল বলছে শিগগিরই টেলিফোনের বহুমাত্রিক ব্যবহার জীপন নিয়ে বাজারে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশপাশি গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে সরবারহ ব্যবস্থা আরো আধুনিক করা হবে বলেও জানান তিনি।