খাদ্য সংকটের জন্য দায়ী সরকারের উদাসীনতা-আত্মতুষ্টি
আমদানি শুল্ক কমে যাওয়ায় আর কিছুদিনের মধ্যে চালের বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে চালের প্রথম চালান দেশে আসছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকেও চাল আমদানি শুরু হবে।
বিআইডিএসের গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ জানান, বর্তমান এ খাদ্য সংকটের জন্য দায়ী সরকারের উদাসীনতা এবং আত্মতুষ্টি, আর এ সুযোগে হাওর অঞ্চলের বন্যাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা খ্যাদ্য সংকট সৃষ্ট করেছে।
হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যায় প্রায় ৬ লাখ টন খাদ্য শস্য নষ্ট হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সারাদেশের চালের বাজারে।
ড. নাজনীন বলেন, এ সংকট মোকাবেলার কোনো প্রস্তুতিই ছিল না সরকারের। সরকারি গুদামে চালের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রতিও কোনো মনোযোগ ছিল না। যার সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ৩৪ টাকা কেজি দরের চাল, দেড় মাসের মধ্যে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় উঠে গেছে।
যেসব অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনো নীরব সরকার।
এমনকি ব্যবসায়ীদের কাছে কি পরিমাণ চালের মজুদ আছে তা নিয়েও সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। তাই কৃত্রিম সংকটে জিম্মি সাধারণ মানুষ, লাভবান গুটিকয়েক ব্যবসায়ী।
বিআইডিএসের গবেষক বলেন, হাওর অঞ্চলের এই সংকট মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সংকট মোকাবেলায় এখান থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ তাদের।
এই সংকটের মধ্যেও, চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দিতে, ২ মাস সময় নিয়েছে সরকার। যাকে সরকারের অদুর্দর্শীতা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।