রাজধানীর নাগরিকরা ফ্ল্যাট কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন
ফ্ল্যাট কেনার নামে প্রায় প্রতিদিনই প্রাতরিত হচ্ছেন কেউ না কেউ। কিন্তু এসব দেখার যেমন কেউ নেই তেমনি সুবিচার পাবার আশাও করেন না ভুক্তভোগীরা। অবশ্য সম্প্রতি আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন রিহ্যাবের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তাদের রিহ্যাবে অন্তর্ভুক্তের আদেশ দিয়েছে সরকার। রিহ্যাব বলছে, এটি কার্যকর হলে এ খাতে প্রতারণার অভিযোগ কমবে।
নিজেদের সারা জীবনের উপার্জন কীভাবে খোয়া গেলে, সেই বেদনাদায়ক গল্পই শোনাচ্ছিলেন দুই বৃদ্ধ। সিদ্ধেশ্বরীর এই প্রকল্পে দু'জনই টাকা দিয়েছেন বেশ ক'বছর আগে। কিন্তু এখন ফ্ল্যাটতো নয়ই টাকাও ফেরত পাননি তারা। সেসব ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে অন্যদের কাছে। সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল লতিফ টাকা দিয়েছিলেন ২৮ লাখ আর ব্যবসায়ী তসলিম উদ্দিন দিয়েছিলেন ১৯ লাখ।
এখন সব খুইয়ে নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে পরিবারের সামনে ঘোরেন তারা। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম এভারেস্ট হোল্ডিংস এ্যান্ড টেকনোলোজিস লিমিটেড। সিদ্ধেশ্বরীর প্রকল্পটির মূল ফটক থেকে বর্তমান ফ্ল্যাট মালিকেরা এভারেস্টের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন যা এখনও স্পষ্ট বোঝা যায়। কোম্পানির খোঁজে নামে সময় সংবাদ।
এভারেস্টের বিজ্ঞাপনের ঠিকানা ধরে তাদের শংকরের অফিসে গিয়ে শোনা গেলো বহুদিন থেকেই লাপাত্তা তারা। বাড়ির ম্যানেজার বললেন, প্রতারণার শিকার অনেক গ্রাহক এখনও আসেন টাকার জন্য।
এভারেস্টের ফোন নাম্বারগুলোর কোনোটা বন্ধ আবার কোনোটা ধরছেন অন্যকেউ। এসব নিয়ে রিহ্যাবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, এভারেষ্ট রিহ্যাবের সদস্য নয়।
বর্তমানে রিহ্যাবের সদস্য আবাসন প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ১২ শ টি। আর রিহ্যাবের বাইরের আছে অন্তত দুই হাজার। তবে, রিহ্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, এভারেষ্ট নামের ওই কোম্পানিটি একসময় রিহ্যাবের সদস্য ছিলো। গ্রাহকদের সঙ্গে নানা অনিয়মের অভিযোগে এভারেস্টের নিবন্ধন বাতিল করে তারা। যদিও ভুক্তভোগীদের দাবি, নিবন্ধন বাতিল করেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না রিহ্যাব।