ইসলামের নামে মানুষ হত্যা সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়, শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য মানুষ যেনো ধর্ম পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
ধর্মের নামে হত্যা-সন্ত্রাস কোনো ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না— ধর্ম শান্তির জন্য, কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ধর্ম ও ইসলামী সংস্কৃতি শিক্ষার প্রসারে প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে–তাই হজে গিয়ে মুসল্লিরা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে সরকার।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হজ যাত্রায় সব ধরনের অনিয়ম দূর করা হয়েছে। এখন হাজিদের প্রতারণা কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না, ওমরাহ নীতিও করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হজ মিশন মক্কায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদিআরব যেতে পারবেন।
পবিত্র হজব্রত পালন করতে গিয়ে হাজিরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা চিহ্নিত করে সমাধানসহ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনসহ (নিবন্ধন) সর্বোচ্চ তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যেখান থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করতে পেরেছেন। হজ বিষয়ক ওয়েবসাইটও করা হয়েছে।
হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবার থেকে প্রাক-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে হজের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেকে প্রতারণার শিকার হতেন, এসব ঘটনায় জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পরে, হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।