মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবার তালা, প্রবেশে ১ রিঙ্গিত চাঁদা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফের তালা দিয়েছে ভবন কর্তৃপক্ষ। প্রায় আধা ঘণ্টা তালা বদ্ধ থাকার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে খুলে দেওয়া হয় গেট।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে হাইকমিশনে প্রবেশে জনপ্রতি ১ রিঙ্গিত করে চাঁদা তুলতে শুরু করে ভবন কর্তৃপক্ষ। টাকা তোলার খবর জানতে পেরে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। এ সময় ভবনের সিকিউরিটি দায়িত্বে থাকাদের সঙ্গে হাইকমিশন কর্মকর্তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়।
পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। খুলে দেওয়া হয় ফটকের তালা এবং ভেঙ্গে ফেলা হয় ১ রিঙ্গিত করে চাঁদা তোলার বক্সটি।
আধুনিক সেবার অঙ্গীকার নিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলতি বছর নতুন স্থানে কাজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন। সেবার মান বাড়লেও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা। হাইকমিশনে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মূলভবনে ঢোকানোর দায়িত্ব দেয়া হয় একই ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের। শৃঙ্খলা কিছুটা ফিরে আসলেও প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হবার অভিযোগ করে থাকেন সাধারণ প্রবাসীরা। হাইকমিশন ভবন থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মীদের হয়রানির বিরুদ্ধে প্রবাসীরা একযোগে সোচ্চার হলে টনক নড়ে হাই কমিশন কর্মকর্তাদের। প্রতিবাদ করেন হাই কমিশন কর্মকর্তারাও। কিন্তু হাইকমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তাদেরও অনেকসময় পাত্তা দেন না নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে নিরাপত্তাকর্মীদের হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও হাইকমিশনের হাই কমিশন কর্মকর্তাদের প্রতিবাদী মনোভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ প্রবাসীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতা জানান, ভবন মালিকের সঙ্গে ভাড়া সংক্রান্ত হাই কমিশনের করা চুক্তিপত্র গোঁজামিলে ভরা। ফলে ভবন কর্তৃপক্ষ ক’দিন পরপর বিভিন্ন ইস্যুতে চড়াও হয় হাইকমিশনের ওপর। এ বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী একটি সমাধানে আসা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা না হয়।
এরআগে গত ৮ জুন প্রথমবার হাইকমিশনে সেবা প্রত্যাশীদের প্রবেশ গেটে তালা দিয়েছিল ভবন কর্তৃপক্ষ।