কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন হচ্ছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হাসানুজ্জামান লালান (৩৫)। অপরজন কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে সোবহান।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন খন্দকার জানান, বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা সড়কের ১০মাইল নামক স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টহল পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় হাসানুজ্জামান ওরফে লালন (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সার্টার গান, দুইটি রামদা ও একটি গুলি, একটা গাছ কাটা করাতসহ গাছের গুড়ি উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাড়াদী এলাকায় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গুলিতে সোবহান নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, আটক সোবহানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাড়াদি গোরস্থানে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায়।এসময় আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এবং ঘটনাস্থলে সোবহান গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটা বিদেশী পিস্তল, একটা দেশীয় বন্ধুক, একটা চাইনিজ কুড়াল, একটা হাসুয়া, এক রাউন্ড গুলি ও ৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। তার নামে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও কুমারখালী থানায় ডাকাতি ও অস্ত্রসহ ৮টি মামলা রয়েছে।